ভাঙাচোরা ওল্ড সাতক্ষিরা রোড, প্রাণান্ত বাসিন্দাদের

দিনের বেলাতেও সব অন্ধকার দেখতে হয় ওদের। ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে গাছপালা, এমনকী শীতের ফসলও ধুলোর চাদরে মুড়ে রয়েছে। ধুলো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই ওদের। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনই অভিযোগ বসিরহাটের সংগ্রামপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩০
Share:

এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।—নিজস্ব চিত্র।

দিনের বেলাতেও সব অন্ধকার দেখতে হয় ওদের। ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে গাছপালা, এমনকী শীতের ফসলও ধুলোর চাদরে মুড়ে রয়েছে। ধুলো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই ওদের। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনই অভিযোগ বসিরহাটের সংগ্রামপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের। পথ অবরোধ করেও সমস্যার সুরাহা পাননি বাসিন্দারা।

Advertisement

বসিরহাটের ইছামতী সেতু থেকে ডান দিকে ঘোজাডাঙা সীমান্তের প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তার নাম ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তা। দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় বেহাল এই রাস্তা। পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। বর্ষার সময়ে সেখানে জল জমে ডোবার আকার ধারণ করে। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তা ছাড়া, প্রায়শই এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। তবু প্রশাসনের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ গাড়িচালক এবং মালিকদের। এই অভিযোগের জেরে পূর্ত সড়ক দফতর থেকে একবার ইট ও সুড়কি দিয়ে গর্ত বোজানো হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ, কিছু দিন পরেই ওই রাস্তা আগের রূপ নিয়েছে। রাস্তার পাশে রয়েছে হরেক রকম দোকান। সেই দোকানের জিনিসপত্রগুলি ধুলোয় ঢেকে যায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় সব্জিগুলিতে এমনই ধুলো লেগে যায় যে সেগুলি না ধুয়ে বিক্রি করা যায় না। সীমান্ত রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করে সম্প্রতি বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দা, দোকানদারেরা। মুজিবর সর্দার, অনুকুল বাছাড়রা বলেন, “ধুলোর জন্য শীতের ফসলের বড় রকম ক্ষতি হচ্ছে। এই কারণে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও যদি প্রশাসনের টনক না নড়ে তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হব।” এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, দিনের পর দিন এই সমস্যার মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তাঁদের কথায়, “ভাঙাচোরা এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেকদিন কয়েকশো পণ্যবাহী লরি সীমান্তের দিকে যাওয়া আসা করে। প্রায় ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। আবার এই লরিগুলির থেকে অনেক টাকা রাজস্ব আদায় করছে সরকার। তারপরও রাস্তা সংস্কারের দিকে নজর নেই।” তা ছাড়া, ধুলোর জন্য শিশুরা তো বটেই বড়রাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, “রাস্তা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন