লাড্ডু বিলি করে এগলো বিজেপির বিজয় মিছিল

ফুল ছড়িয়ে, লাড্ডু বিলিয়ে বিজয় মিছিল করলেন বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। শনিবার দুপুরের দিকে বৃষ্টির মধ্যেই টাকির চৌরঙ্গি থেকে শুরু হয়েছিল মিছিল। হুডখোলা একটি জিপে ছিলেন শমীকবাবু। রাস্তার দু’ধারে তখন বৃষ্টি উপেক্ষা করে জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২৬
Share:

গোটা পথে এমনই অভ্যর্থনা পেলেন শমীক ভট্টাচার্য। ছবি: নির্মল বসু।

ফুল ছড়িয়ে, লাড্ডু বিলিয়ে বিজয় মিছিল করলেন বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।

Advertisement

শনিবার দুপুরের দিকে বৃষ্টির মধ্যেই টাকির চৌরঙ্গি থেকে শুরু হয়েছিল মিছিল। হুডখোলা একটি জিপে ছিলেন শমীকবাবু। রাস্তার দু’ধারে তখন বৃষ্টি উপেক্ষা করে জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ শমীকবাবুর গলায় পরালেন ফুলের মালা। কেউ খাওয়ালেন লাড্ডু। হাত নেড়ে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি মহিলাদের অনেকেই শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নিলেন বিধায়ককে। এ সব দেখে শমীকবাবু বলেন, “অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে, ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষ যে ভাবে সমর্থন করেছেন, তাতে আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। এই ভিড় দেখেও আমি অভিভূত। মানুষের পাশে থেকে এই কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কাজ করার চেষ্টা করব।”

এ দিন সকাল থেকেই বসিরহাটে বৃষ্টি শুরু হয় কখনও প্রবল বেগে কখনও আস্তে আধো আলো-অন্ধকারের মধ্যে বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলের সামনের গাড়িতে রাখা ছিল ফুল, পিছনের গাড়িতে লাড্ডু। টাকি রোড ধরে হাসনাবাদের দিকে খানিকটা এগিয়ে রেলক্রসিং পেরিয়ে হঠাৎ থেমে যায় শমীকবাবুর জিপ। নেমে এসে বিধায়ক উঠে পড়েন একটি মোটরবাইকে। ফের এগোয় মিছিল। হাসনাবাদ স্টেশন-সংলগ্ন কলোনিতে মালা হাতে দাঁড়িয়ে মহিলারা শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে, ফুল ছড়িয়ে বরণ করে নেন শমীকবাবুকে। লাড্ডু দেওয়া হয় তাঁর হাতে। কণিকা মণ্ডল, সুহাসিনী মণ্ডল, কাকলি ধর বলেন, “সব দলকেই তো দেখলাম। দেশ গড়তে জরুরি বিজেপিকে তাই এখানকার বেশিরভাগ মানুষ ভোট দিয়েছেন শমীকবাবুকে।”

Advertisement

হাসনাবাদের দিকে মিছিল এগোতেই রাস্তার ধারের মানুষের মধ্যে লাড্ডুর খোঁজে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মিছিলের সামনের গাড়ি থেকে ফুল ছোঁড়া হচ্ছিল। আর পিছনে থাকা গাড়ি থেকে অকাতরে বিলানো হচ্ছিল লাড্ডু। মিছিল হাসনাবাদ বাস স্ট্যান্ড হয়ে ইছামতী নদীর পাশ দিয়ে থানা এবং পুরাতন বাজার ও বিনোদ কলোনি হয়ে এগিয়ে যায় টাকি শহরের দিকে। বিনোদ কলোনির সামনে আসতেই আশপাশ থেকে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। তাঁদের কারও হাতে ফুল, কারও হাতে মালা। সে সময়ে বৃষ্টিও শুরু হয় অঝোরে। ভিজতে ভিজতেও উৎসাহে খামতি ছিল না কারও। শমীকবাবুকে বরণ করে নেয় জনতা। খোঁজ পড়ে লাড্ডুর।

পিছন থেকে মাইকে ঘোষণা হচ্ছিল, ‘২০১৬ সালে পরিবর্তনের পরিবর্তন শুরু হল।’ রাস্তার পাশে দাঁড়ানো কয়েক জনকে বলতে শোনা গেল, বিধানসভা থেকে সাংসদ, পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত সমিতি সর্বত্রই তো দাপট তৃণমূলের। তারই মধ্যে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছনো, রাস্তা সংস্কার বা সেতুর কাজ শেষ করা যাবে তো?

উত্তর মিলবে আগামী দিনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন