শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা

শিক্ষিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল বেশ কয়েক হাজার টাকা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ডায়মন্ড হারবার শাখার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখার এক আধিকারিক অসিতবরণ শী বলেন, “বড় ঘটনা বলে বিষয়টি বারুইপুরে আমাদের আঞ্চলিক সদর দফতর থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।” ডায়মন্ড হারবার থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছে পুলিশ।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩২
Share:

শিক্ষিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল বেশ কয়েক হাজার টাকা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ডায়মন্ড হারবার শাখার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখার এক আধিকারিক অসিতবরণ শী বলেন, “বড় ঘটনা বলে বিষয়টি বারুইপুরে আমাদের আঞ্চলিক সদর দফতর থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।” ডায়মন্ড হারবার থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছে পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে জেলার সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুলের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা মানসী মণ্ডল গত ৩০ ডিসেম্বর নিজের বেতন-অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু টাকা তুলে পাসবই আপডেট করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানতে পারেন, অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা গায়েব। ওই শিক্ষিকার কথায়, “ম্যানেজারের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোয় তিনি বললেন, ওই টাকা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তোলা হয়েছে। কিন্তু আমি কোনও দিন এটিএম কার্ড ব্যবহার করিনি। এটিএম কার্ডের জন্য আবেদনও করিনি।” যদিও পুলিশ এবং ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে ওই শিক্ষিকার নামে একটি এটিএম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যেটি ব্যবহার করে ১-১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কয়েক বার টাকা তোলা হয়েছে। ব্যাঙ্কে যে খাতায় (লেজার ফোলিও) মানসীদেবীর অ্যাকাউন্টের হিসেব রয়েছে, তার কয়েকটি পৃষ্ঠাও ছেঁড়া পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা নজরে আসার পরে ওই শিক্ষিকা এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন এ রকম কোনও নথি অবশ্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে দেখাতে পারেননি।

ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করানোর কথা। সেখানে মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা থাকে। অ্যাকাউন্ট থেকে এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হলে উঠলে সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার কথা ব্যাঙ্কের। মানসীদেবীর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী ঘোষ বলেন, “আমরা প্রত্যেকে কেওয়াইসি ফর্ম পূরণ করেছি। কিন্তু বেতন-অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে ব্যাঙ্ক থেকে অনেক সময়েই অনেকে এসএমএস পান না।” এই অবস্থায় মানসীদেবীর ঘটনার পরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁর সহকর্মীরাও।

Advertisement

স্কুল সূত্রের খবর, জনা ২০ শিক্ষিকার বেতন-অ্যাকাউন্ট আছে ওই ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখায়। বহু শিক্ষিকা এটিএম কার্ডও ব্যবহার করেন না। বস্তুত, ডায়মন্ড হারবার ১ এবং ২ ব্লক মিলিয়ে ছোট-বড় প্রায় ৩২টি স্কুলের বেতন হয় ব্যাঙ্কের ওই শাখায়। স্থানীয় ধনবেড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপসপ্রিয় হালদার বলেন, “আমাদের স্কুলেরও ১৪ জন শিক্ষকের বেতন ওই শাখার মাধ্যমে হয়। ব্যাঙ্ক এই গাফিলতির দায় এড়াতে পারে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন