উদ্বোধনের আনন্দে।—নিজস্ব চিত্র।
আজ, সোমবার টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে সুন্দরবন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে পুরুষ বিভাগে মুখোমুখি হবে মিনাখাঁ ও হাসনাবাদের দল। মহিলা দলের ফাইনালে খেলবে হাসনাবাদ ও সন্দেশখালির মেয়েরা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এবং জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনেকটাই সফল। কারণ এখান থেকে অনেক প্রতিভার সন্ধান মেলে।” এ বার তৃতীয় বর্ষে পা দিয়েছে এই প্রতিযোগিতা। ছ’টি থানা এলাকা থেকে মোট ১৬৫ টি ক্লাব প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মহিলাদের দলও রয়েছে। নক আউট পর্যায়ে প্রথম দিনের খেলায় হাসনাবাদ আদিবাসী বৃন্দ ২-০ গোলের ব্যবধানে সোদপুর আজাদ সংঘকে পরাজিত করে। মহিলাদের খেলায় হাসনাবাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ১-০ গোলের ব্যবধানে আমলানি মা সারদাকে হারায়। খেলা পরিচালনা করেন সুকমল বসু, রুহল আমিন, উত্তম ভট্টাচার্য এবং স্বপন মণ্ডল। প্রতিযোগিতায় যোগদানকারী প্রতিটি দলকে ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতায় সেরা মহিলা ফুটবলারকে দেওয়া হবে স্কুটি এবং সেরা পুরুষ ফুটবলার পাবেন মোটর সাইকেল। এ ছাড়াও থাকছে ট্রফি-সহ অনেক পুরস্কার।
এ বার প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচা হচ্ছে। সাংসদ ইদ্রিশ আলি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান ক্রীড়াতে ছেলেমেয়েদের উত্সাহিত করতে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ছেলেমেয়েদের ক্রীড়া জগতে নিয়ে আসতে। সে কারণেই সুন্দরবন কাপের আয়োজন।” প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার ও তৃণমূল নেতা দীপেন্দু বিশ্বাসের দাবি, এই প্রতিযোগিতা থেকেই উঠে আসবে এমন খেলোয়াড়, যাঁরা ভবিষ্যতে কলকাতার বড় দলগুলিতে খেলতে দেখা যাবে। খেলায় উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়, টাকি পুরসভার পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র, হাসনাবাদ গোপাল বিশ্বাস-সহ প্রমুখ।