কলকাতায় ‘শিক্ষারত্ন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার পথে গত ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচুয়াখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাসের ধাক্কায় জখম হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে কুলতলি ফেরে বাস। পথেই মারা যান মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, গোটা ঘটনা চেপে যেতে ছাত্রীদের রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম ঘরামি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি ওঠে।
এ দিকে, গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্দিরবাজার থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ। পুলিশের দাবি, বাসের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন এই ব্যক্তিই। দেহ ফেলে দেয় চালক-খালাসি। কুলতলির ওই স্কুল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এই এলাকা। মঙ্গলবারও পরিচয় জানা যায়নি মৃত ব্যক্তির। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বাসের চালক সুরেশ হালদারকে। তাকে এ দিন তোলা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে। ৬ দিন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে জেরা করছে পুলিশ। চালককে জেরা করে প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জাহাঙ্গির তৃণমূলের কুলতলি ব্লক শিক্ষা সেলের সভাপতি। এলাকার প্রভাবশালী নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময়ে স্কুলে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অভিভাবক-গ্রামের মানুষ। যদিও তা মানতে চাননি স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি প্রশান্ত নস্কর। প্রধান শিক্ষকও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মঙ্গলবারও স্কুলে যাননি জাহাঙ্গির।
এ দিকে, অভিভাবকদের একাংশ প্রধান শিক্ষকের নানা আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ দিন ছিল দশম শ্রেণির প্রি-টেস্ট পরীক্ষা। আগামী সোমবার শেষ হবে পরীক্ষা। তার পরে মঙ্গলবার থেকে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ।