BJP

Mithun Chakraborty: মিঠুনের ‘ব্রেকিং নিউজ’: ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন, আমার সঙ্গেই ২১ জন

মিঠুনের এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি বলতে পারব না। উনি দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন। উনি বলতে পারবেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ১৬:৫১
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

কলকাতায় এসে ‘ব্রেকিং নিউজ’ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। গত বছর নীলবাড়ির লড়াই-পর্বে বিজেপির তারকা প্রচারক মঙ্গলবার বললেন, ‘‘৩৮টা তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তার মধ্যে আমার সঙ্গে ডিরেক্টলি (সরাসরি) ২১ জন।’’

Advertisement

যদিও মিঠুনের এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি বলতে পারব না। উনি দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন। উনি বলতে পারবেন।’’

মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে জোট সরকার গড়েছে বিজেপি। হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপির দফতরে সাংবদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে মিঠুনের প্রশ্ন, ‘‘মুম্বইয়ে এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম সেখানে বিজেপি-শিবসেনা সরকার হয়ে গিয়েছে। এখানেও কি তেমন হতে পারে না?’’

Advertisement

তৃণমূল পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরিয়ে কি তবে এ রাজ্যেও সরকার গড়ার চেষ্টা চালাবে বিজেপি? মিঠুনের জবাব, ‘‘প্রথমে সিনেমার মিউজিক রিলিজ করা হয়। তার পর ট্রেলার। তার পর সিনেমা। আজ মিউজিক রিলিজ করা হল।’’ এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র প্রসঙ্গও মঙ্গলবার এসেছে মিঠুনের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘‘প্রমাণ থাকলে কেউ ছাড় পাবে না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, এখনও স্বচ্ছ নির্বাচন হলে বাংলায় বিজেপি জিতবে।

যদিও মিঠুনের এমন দাবিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘উনি (মিঠুন) অদ্ভুত পোশাক পরে আসেন, অদ্ভুত সব কথাবার্তা বলেন। বিধানসভা ভোটের আগে এসে উনি গোখরো-ফোখরো কী সব বলে গিয়েছিলেন। তার ফল কী হয়েছিল, সেটা দেখতে পেয়েছেন।’’ সিনেমার সস্তা ডায়লগ বলা ছেড়ে দিয়ে মূল্যবৃদ্ধি, ইপিএফের সুদ কমানোর মতো জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে মিঠুনকে নজর দেওয়ারও ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন কুণাল।

অন্য দিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘আমি তো পেশায় চিকিৎসক। তাই ভাবছি। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমরা দরজা খুলে দিলে বিজেপি দলটা উঠে যাবে’, সেখানে এই অবান্তর কথার কি কোনও অর্থ আছে?’’

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দুই সাংসদ অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খান এবং বিধায়ক অর্জুন সিংহ। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি-সহ কয়েক জন মন্ত্রী-বিধায়ক। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরেই শুরু হয়েছে ‘উল্টো স্রোত’। মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, রাজীব-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক ও নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে শামিল হয়েছেন। একাধিক উপনির্বাচনে পদ্ম-শিবিরের ভোটে ধস নামারও ‘ছবি’ দেখা গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মিঠুনের মন্তব্য নিয়ে বঙ্গ-রাজনীতিতে নয়া গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নীলবাড়ির লড়াইয়ের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া ‘মহাগুরু’কে কি তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় করতে চাইছে বিজেপি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন