ট্রেন থামিয়ে উঠতে গিয়ে পিষ্ট ৪

মাঠের পাশে ট্রেন থামিয়ে তাতে জোর করে উঠতে গিয়েছিলেন মেলা থেকে ঘরমুখী মানুষ। ওই সময় পাশের লাইনে চলে আসা আরেকটি ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মৃত্যু হল চারজনের। গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:১৪
Share:

মাঠের পাশে ট্রেন থামিয়ে তাতে জোর করে উঠতে গিয়েছিলেন মেলা থেকে ঘরমুখী মানুষ। ওই সময় পাশের লাইনে চলে আসা আরেকটি ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মৃত্যু হল চারজনের। গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। মঙ্গলবার বিকাল সওয়া তিনটে নাগাদ মালদহ ডিভিশনের সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে ওই ঘটনা ঘটে। এর জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। সন্ধ্যার পরে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

Advertisement

রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, ওই লাইনে রক্ষিস্থানের মাঠ এলাকায় প্রতি মঙ্গল ও শনিবার মেলা বসে। সেই মেলায় ভিড় হয় বহু মানুষের। বিকালে ওই লাইনে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আসছিল। ট্রেন আসছে দেখে বেশ কিছু লোক লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটিকে থামানোর চেষ্টা করেন। লাইনে একসঙ্গে অত লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন।

রেল কর্তারা জানিয়েছেন, ওই সময় আচমকাই পাশের লাইনে চলে আসে সাহেবগঞ্জ-দানাপুর ইন্টারসিটি। দুর্ঘটনা ঘটে সেই সময়ই। ঘটনাস্থলে কিছুটা বাঁক থাকায় যাত্রীরা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দেখতে পাননি। দেখতে পাননি ইন্টারসিটির চালকও। ফলে তিনি সময়মত ব্রেকও কষতে পারেননি। আর তাতেই ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে চার জনের মৃত্যু হয়। দু’জন গুরুতর জখম হন। রেল কতৃর্পক্ষ চার জনের মৃত্যুর কথা জানালেও বেসরকারি সূত্রে খবর, মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আহতের সংখ্যাও আরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

খবর পেয়েই মালদহ থেকে আরপিএফের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা দেন। পৌঁছে যান রেল কর্তারাও। দেহগুলি উদ্ধার করে পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে।

ওই এলাকায় যে মেলা বসে তা সবার জানা। কিন্তু তাও রেলের তরফে কোনও সতর্কতা নেওয়া হল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও মালদহের ডিআরএম মোহিতকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ট্রেনের চালকদের আগে থেকে সর্তক করা হয়েছিল। তারপরেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement