এই রাস্তাই পাকা হবে।
জাতীয় সড়ক থেকে শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত কারখানা পর্যন্ত রাস্তা পাকা করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাস্তা নির্মাণে প্রায় ৭ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাস্তা নির্মাণ হয়ে যাবে বলে পূর্ত দফতর জানিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার কাজ এগোচ্ছে। আগামী মার্চে কারখানাটি চালু হওয়ার কথা। তার আগেই রাস্তাটি পাকা করতে তড়িঘড়ি অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার সংস্থার চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দলের ছেলে পার্থ জিন্দল শালবনিতে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার কাজ ঠিকমতো এগোচ্ছে কিনা, মার্চ মাসে উত্পাদন শুরু করা যাবে কিনা, সবই খতিয়ে দেখেন তিনি। ঝটিতি সফরে কারখানা ঘুরে দেখতে দেখতে বিশদে কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে।
জিন্দলদের প্রকল্প এলাকা রয়েছে শালবনির জামবেদিয়ায়। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে কারখানার দূরত্ব প্রায় ১.৭ কিলোমিটার। ওই অংশের রাস্তা মোরাম দিয়ে সম্প্রসারিত করেছিলেন জিন্দল কর্তৃপক্ষ। রাস্তা পাকা করতে অবশ্য রাজ্য সরকার সাহায্য করছে। পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু দে বলেন, “রাস্তার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ওই প্রক্রিয়া শেষ হলেই নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
ইস্পাত কারখানা তৈরির জন্য ২০০৭ সালে শালবনি থানা এলাকার বাকিবাঁধ, বাঁশকোপনা, আসনাশুলি, বরজু, শালডাংরা, নূতনডিহি চন্দনকাঠা, আড়াবাড়ি এলাকায় ৪৩৩৪ একর জমি নেওয়া হয়। শেষমেশ ইস্পাত কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন জিন্দলরা। পরে শালবনির এই এলাকায় সিমেন্ট কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্চে নব-নির্মিত কারখানার উদ্বোধনও তাঁরই করার কথা।