Amarnath Yatra

Amarnath Yatra: অমরনাথে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় রাজ্যের ৭ জন

বারুইপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী পাড়ার তিনটি পরিবারের সাত জন অমরনাথের পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২২ ০৭:৫৭
Share:

চলছে উদ্ধার-কাজ। ছবি পিটিআই

বারুইপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী পাড়ার তিনটি পরিবারের সাত জন অমরনাথের পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে খবর। দলে ছিলেন কলেজপড়ুয়া বর্ষা মুহুরি, তাঁর মা নিবেদিতা মুহুরি, মামা সুব্রত চৌধুরী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উজ্জ্বল মিত্র এবং‌ তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে এবং উদয় ঘোষ নামে আর এক জন। আত্মীয়েরা জম্মুতে উদ্ধারকাজে থাকা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

মুহুরি পরিবারের আত্মীয় গৌতম চৌধুরী শনিবার জানান, গত ১ জুলাই সাত জনের দলটি অমরনাথের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ৫ জুলাই পহেলগাঁও পৌঁছে গিয়েছিলেন ওঁরা সবাই। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল। শুক্রবার উদয়বাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। উনিই দুর্ঘটনার কথা জানান। এ-ও জানান যে, সবাই কমবেশি জখম হয়েছেন।’’ কী ভাবে ওঁরা দুর্ঘটনায় পড়েন, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর নেই।

শনিবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিকাশ দত্ত বলেন, ‘‘রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ-খবর করা হচ্ছে। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনিও ওই পরিবারগুলির বিষয়ে খোঁজখবর করছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে।’’

Advertisement

অমরনাথে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনার পরেই শুক্রবার থেকে খোঁজ মিলছিল না হাওড়া ময়দানের কাছে কিংস রোডের কালীবাবুর বাজারের বাসিন্দা একই পরিবারের মা ও দুই মেয়েরও। প্রশাসনিক স্তরে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে শনিবার তাঁদের তিন জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁরা ন্যাশনাল ডিজ়াস্টার রেসপন্স টিম বা এনডিআরএফ-এর ক্যাম্পে রয়েছেন।

হাওড়ার কালীবাবুর বাজার এলাকা থেকে ৬৮ বছরের বৃদ্ধা মা শীলা সিংহকে নিয়ে মেজ মেয়ে ঝুমা সিংহ ও ছোট মেয়ে প্রীতি মান্না অমরনাথ দর্শনের জন্য গত ২ জুলাই হাওড়া স্টেশন থেকে হিমগিরি এক্সপ্রেসে রওনা হয়েছিলেন। যাত্রাপথে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। শুক্রবার উচ্চতাজনিত কারণে মা শীলা সিংহকে একটি ঘোড়ায় বসিয়ে দিয়ে দুই বোন পায়ে হেঁটে গুহার দিকে এগোচ্ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। দুই বোন ঝুমা ও প্রীতি নাথ গুহায় পৌঁছে গেলেও শীলা তখনও গুহায় পৌঁছতে পারেননি। তার পরেই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। মাকে খুঁজে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে ফোন করেছিলেন প্রীতি। তখনই তিনি বড় বোন সোমা সিংহকে বলেছিলেন, ‘‘মা ও মেজদিদিকে খুঁজে পাচ্ছি না।’’ তার পর থেকে ওঁদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বলে পরিবারের ছোট ছেলে, হাওড়া সিটি পুলিশের কর্মী অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছিলেন। শনিবার বিকালে অভিজিৎ বলেন, ‘‘এ দিন বিকালে মেজদিদি ফোন করে জানান, তাঁরা সুরক্ষিত আছেন। এনডিআরএফ তাঁদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে রেখেছে।’’ এই খবর আসার পরেই গোটা পরিবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। তবে ঠিক কী ঘটেছিল, কী ভাবে তাঁরা নিখোঁজ হন, তা সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন