সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা চিঠি ৮ নেতার

দলীয় সূত্রে খবর মিলেছে, রাজ্য সভাপতির কাছে জেলার ওই নেতারা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন— রামকৃষ্ণবাবুর নেতৃত্ব সংগঠনের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। তাই তাঁর উপরে তাঁদের আস্থা নেই। দ্রুত দলের জেলা পদাধিকারীদের সভা ডেকে দলীয় সংবিধান মেনে আস্থা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হোক রামকৃষ্ণবাবুকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০৪
Share:

বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে চিঠি পাঠালেন জেলাস্তরের নেতাদের একাংশ— দলীয় সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।

Advertisement

দলের অন্দরমহলের খবর, জেলাস্তরের ৮ জন নেতার স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সভাপতির কাছে। চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে— দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী, জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়, পিয়া সাহা, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, অনিল সিংহ, সহ সম্পাদক রূপা মণ্ডল, নারায়ণচন্দ্র মণ্ডল এবং কোষাধ্যক্ষ কাশীনাথ মণ্ডলের৷ দলীয় সূত্রে খবর মিলেছে, রাজ্য সভাপতির কাছে জেলার ওই নেতারা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন— রামকৃষ্ণবাবুর নেতৃত্ব সংগঠনের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। তাই তাঁর উপরে তাঁদের আস্থা নেই। দ্রুত দলের জেলা পদাধিকারীদের সভা ডেকে দলীয় সংবিধান মেনে আস্থা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হোক রামকৃষ্ণবাবুকে।

এই ঘটনার জেরে জেলায় বিজেপির ‘গোষ্ঠীকোন্দল’ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। দলেরই নেতাদের একাংশের বক্তব্য, এমন দ্বন্দ্ব অবশ্য নতুন নয়। এক সময় রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি বিষোদ্‌গার করে পদ ছেড়েছিলেন তদানীন্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। সেই সময় তাঁর অনুগামীরা চেয়েছিলেন দুধকুমারকে ফের ওই পদে ফেরানো হোক। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব অর্জুন সাহাকে প্রথমে দলের জেলা আহ্বায়ক ও পরে জেলা সভাপতি মনোনীত করে। পরে তাঁকে সরিয়ে রামকৃষ্ণবাবুকে সভাপতি করা হয়। দুধকুমারবাবুকে রাজ্য কমিটিতে জায়গা দেওয়ার কথা বলে তাঁর অনুগামীদের ক্ষোভ প্রশমিত করেন রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু রাজ্য কমিটিতেও ঠাঁই হয়নি তাঁর। সেই ক্ষোভে ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন দুধকুমারবাবু। রামপুরহাট বিধানসভার টিকিট পেয়ে অবশ্য মত বদলান তিনি। দ্বন্দ্ব কিন্তু থেকেই যায়। দলীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি সিউড়িতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে দুধকুমারবাবু উপস্থিত ছিলেন বলে রামকৃষ্ণবাবু সেখানে যাননি।

Advertisement

শুভাশিসবাবু ও অতনুবাবুর কথায়, ‘‘জেলা সভাপতি নিজের মর্জিমাফিক দল চালান। তাই কর্মী-সমর্থকেরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। সে জন্যই আস্থা প্রমাণের দাবি জানিয়েছি।’’ রামকৃষ্ণবাবু বলেন— ‘‘কে, কোথায়, কী চিঠি লিখেছে তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। রাজ্য নেতৃত্বই যা ঠিক করার করবে।’’’ আর দুধকুমারবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁরা অনাস্থা প্রকাশ করেছেন, বিষয়টি তাঁরাই ব্যাখ্যা করতে পারেন। আমি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন