পা বাঁধা, বাঁ চোখ উপড়ে নেওয়া, খুন ন’বছরের বালিকা

বাঁ চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে দক্ষ হাতে। দড়ি দিয়ে পা বাঁধা। এই অবস্থায় ৯ বছরের এক বালিকার দেহ দেখে বৃহস্পতিবার সকালে শোকে ভেঙে পড়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভৈরবপুর। সেই শোক কিছু বাদেই ক্ষোভে পরিণত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২০
Share:

বাঁ চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে দক্ষ হাতে। দড়ি দিয়ে পা বাঁধা। এই অবস্থায় ৯ বছরের এক বালিকার দেহ দেখে বৃহস্পতিবার সকালে শোকে ভেঙে পড়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভৈরবপুর। সেই শোক কিছু বাদেই ক্ষোভে পরিণত হয়। পাশের পাড়ার মেয়েকে এই ভাবে যারা খুন করেছে, তাদের শাস্তি দাবি করে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

Advertisement

গ্রামের পাশেই বিহার। কারও কারও সন্দেহ, অঙ্গ পাচার চক্রের হাতে পড়েছিল বালিকা। তাই নিপুণ হাতে তার বাঁ চোখটি তুলে নেওয়া হয়েছে। গালের রক্তও যে তুলো দিয়ে মোছা হয়েছে, তারও প্রমাণ প্রাথমিক ভাবে মিলেছে। ভুরুর ঠিক পর থেকে এই ভাবে চোখ উপড়ানোর পিছনে দক্ষ মাথা ও হাতই জড়িত বলে গ্রামের মানুষের দাবি। পরিচিত কেউই এই ঘটনায় জড়িত বলে অনেকের সন্দেহ।

হরিশ্চন্দ্রপুরের বিএমওএইচ ছোটন মণ্ডল বলেন, ‘‘মালদহে চোখ তুলে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তা ছাড়া, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে হলে একটি চোখ কেন তোলা হবে?’’ সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত ওই বালিকা। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার গলায় কালশিটের দাগ ছিল। তারও কারণ চোখ উপড়ানোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে কারও শত্রুতা নাকি অন্য কিছু, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’

বুধবার মায়ের সঙ্গে জ্বালানি কুড়িয়ে বাড়ি ফিরেছিল এই বালিকা। এর পর অবশিষ্ট জ্বালানি আনতে ফের একাই যায় সে। সন্ধে পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এ দিন সকালে বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে নদীর ধারে তার দেহ মেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন