বিজেপির সভার জমি বাম নেতার

রথযাত্রার অমিত শাহের উদ্বোধনী সভার জন্য কোচবিহারে নেওয়া হয়েছিল দলীয় কর্মীর চাষের জমি। মালদহে তাঁর সভার জন্য নেওয়া হল এক সিপিএম নেতার চাষজমি। আর তাতেই শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর আলোচনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪১
Share:

অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

রথযাত্রার অমিত শাহের উদ্বোধনী সভার জন্য কোচবিহারে নেওয়া হয়েছিল দলীয় কর্মীর চাষের জমি। মালদহে তাঁর সভার জন্য নেওয়া হল এক সিপিএম নেতার চাষজমি। আর তাতেই শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর আলোচনা।

Advertisement

আগামী রবিবারের সভায় অমিত শাহ আসছেন কি না তা অনিশ্চিত। তাঁর পরিবর্তে রাজনাথ সিংহ, যোগী আদিত্যনাথেরা আসবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনায় সরগরম মালদহ। তার চেয়েও বৃহস্পতিবার শহরে লোকের মুখে বেশি ঘুরেছে ওই সভার জমির মালিককে নিয়ে আলোচনা। বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন মালদহের সাহাপুরে জাতীয় সড়কের বাইপাসের ধারে প্রাক্তন প্রধান তথা সিপিএম নেতা তরুণ ঘোষের জমিটি পরিদর্শন করেন বিজেপির নেতারা। ওই জমিতে এ দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় মঞ্চ বাঁধার কাজ। স্থানীয় সূত্রর খবর, তরুণ ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএমের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। গত বছর পর্যন্ত পুরাতন মালদহ লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। এখন দলের একজন সক্রিয় সদস্য। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সক্রিয় ভাবে দলের কাজ করেছিলেন তিনি। পুরাতন সাহাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের ধারে প্রায় ৩০ বিঘা চাষের জমি রয়েছে। দলের এরকম একজন সক্রিয় নেতার জমিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা হবে শুনে বেজায় অস্বস্তিতে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। বিরোধীদের সভার জন্য মাঠ না দেওয়া তৃণমূলের রাজনীতি। আর কারও ব্যক্তিগত জমিতে যে কেউ সভা করতে পারে। এখানে রাজনীতির বিষয় নেই। আর বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মাঠে নেমে বামেরাই লড়াই করছে।” এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। মালদহের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বামেরাই এখন রাম হয়ে গিয়েছে। পুরাতন মালদহের ঘটনা তা আবারও প্রমাণ করল। তাই সিপিএম নেতার জমিতে সভা করবেন অমিত শাহ।” বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “তৃণমূল ভয় পাচ্ছে বিজেপিকে। তাই বিজেপির সভার কথা শুনেই ভয় পাচ্ছে।”

তবে যাঁকে নিয়ে এত হইচই, সেই সিপিএম নেতা তরুণ অবশ্য এটায় কোনও বিতর্ক খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, “বাইপাস হয়ে যাওয়ায় বছরে একবারই আমার জমিতে চাষ হয়। প্রায় ৩০ বিঘার মতো জমি রয়েছে। বিজেপি নেতারা সভার জন্য আমার কাছে জমি চেয়েছিলেন। আমি কোনও আপত্তি করিনি। কারণ আমার জমি তো ফাঁকাই পড়ে থাকে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement