Firecrackers

Firecrackers: নেই কোনও নজরদারি, প্রকাশ্য রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে শব্দবাজি, ঠাঁই সামান্য সবুজ বাজিরও

অধিকাংশ দোকানেই ছোট-বড় রকেটের সম্ভার। বস্তায় করে চকলেট বোম বিক্রি করতেও দেখা গেল।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫১
Share:

প্রকাশ্যে উলুবেড়িয়ায় বিক্রি হচ্ছে বাজি। ছবি: সুব্রত জানা।

সুপ্রিমকোর্ট বলেছে শুধু পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি বিক্রির কথা। কালীপুজোর দু’দিন আগে নদিয়ার কল্যাণীর রথতলার শহিদপল্লির বাজির বাজারে এলে ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যাবে না এমন কোনও নিয়ন্ত্রণের কথা।

Advertisement

সবুজ বাজি রয়েছে সামান্য। কিন্তু প্রকাশ্যে, রাস্তায় ঢেলে দেদার বিক্রি হচ্ছে শব্দবাজি এবং সাধারণ আতশবাজি! তার চাহিদাই বেশি। দরদস্তুর করে ব্যাগ ভরে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। না আছে প্রশাসনের নজরদারি, না আছে পুলিশ! মঙ্গলবার সেই বাজার ঘুরে নিষিদ্ধবাজির ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং যুবকেরা এমন জ্বলন্ত নজরে তাকালেন যে মোবাইল পকেটে ঢুকিয়ে রাখতে বাধ্য হতে হল।

শহিদপল্লির বাজিবাজারের যথেষ্ট নামডাক আছে। নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত এবং জেলার বাইরে থেকেও ক্রেতারা এখানে বাজি কিনতে আসেন। কালীপুজোর সময় স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি রাস্তার উপর প্রচুর অস্থায়ী দোকান বসে। মঙ্গলবার ওই বাজারে গিয়ে দেখা গেল, নিষিদ্ধ শব্দবাজি এবং আতশবাজির ছড়াছড়ি।

Advertisement

কল্যাণীর রথতলার শহিদপল্লি এলাকার বাজিবাজারে। নিজস্ব চিত্র

অধিকাংশ দোকানেই ছোট-বড় রকেটের সম্ভার। বস্তায় করে চকলেট বোম বিক্রি করতেও দেখা গেল। ওই বাজি ভাল করে ফাটবে কি না জিজ্ঞাসা করতেই এক বিক্রেতা উত্তর দিলেন, ‘‘ফাটবে না মানে! সব নিজেদের হাতে বাড়িতে বানানো। ৮০ টাকার এক-একটা প্যাকেট।’’ আর এক বাজি বিক্রেতা জানালেন, তাঁদের কাছে চকলেট বোম তিন-চার রকমের পাওয়া যায়। ৭০ টাকা, ৬০ টাকা, ৪০ টাকার প্যাকেট। সবুজ বাজির প্যাকেট ৬৫ টাকা থেকে শুরু।

জগদ্দল থেকে বাইক চেপে দুই বন্ধু বাজি কিনতে এসেছিলেন ওই বাজারে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে প্রচুর শব্দবাজি কিনেছেন। দু’জনের পিঠের ব্যাগ এবং হাতের ব্যাগে ভর্তি নিষিদ্ধ সব বাজি। কথোপকথনের সময় বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন, পুলিশের নজর এড়িয়েই ফিরবেন জগদ্দলে! এ ব্যাপারে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, “ওখানে অভিযান চালানো হবে।” আর কাঁচড়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজ সিং বলেন, “আইনে যা নিষিদ্ধ আছে সেই বাজি অবশ্যই বিক্রেতারা রাখবেন না। যদি রাখেন তা হলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন