বেলভিউ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে বেরনোর সময় বুধবার দীনেশ ত্রিবেদীকে গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সে দিনই বোঝা গিয়েছিল অচিরে সাত-দোষ মাফ হতে চলেছে ব্যারাকপুরের এই সাংসদের। তিন দিন পর শনিবার বিকেলে সেই দীনেশকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার-পুস্তিকা রচনার অন্যতম দায়িত্ব দিলেন মমতা। এ বিষয়ে মমতা একটি কমিটি তৈরি করেছেন। দীনেশকে সদস্য করা হয়েছে তাতে। এতেই স্পষ্ট দলে পুরনো মর্যাদায় ফিরছেন দীনেশ।
আজ, রবিবার সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রথম বৈঠকটাও হবে দীনেশের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে। সূত্রের খবর, মমতার এই ঘোষণার পরেই কমিটির বাকি সদস্যদের দীনেশ অনুরোধ করেন, তাঁর বাড়িতেই আজ মধ্যাহ্নভোজ করতে। কিন্তু কমিটির সব সদস্য প্রথম বৈঠকে থাকতে পারবেন না। তাই ঠিক হয়, কাল, সোমবারের বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজ হবে দীনেশের বাড়িতে। গুজরাতি দীনেশ বরাবরই অতিথিবৎসল। তৃণমূল নেত্রীর পরামর্শে বহুবার দিল্লিতে দীনেশের বাড়িতে ভূরিভোজ করেছেন দলের নেতা-মন্ত্রীরা। দীনেশ মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তাব দিতেই কমিটির এক সদস্য এ দিন তাঁকে বলেন, ‘‘দীনেশদা, এ বার আর চাইনিজ নয়, একেবারে গুজরাতি খানা চাই।’’ তাতেই রাজি হয়ে যান দীনেশ।