Ham Radio

বহু বছর পেরিয়ে অবশেষে মাসির সঙ্গে দেখা

শুভেন্দু জানিয়েছেন, তাঁর মামা কমলেন্দু চক্রবর্তী ধানবাদে চাকরি করতেন। দিদিমা, মাকে নিয়ে তাঁর কাছে চলে এসেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৭
Share:

এত দিনে কাঁটাতারের বাধা কাটিয়ে দিদির খোঁজ পেয়েছেন বোন। ফাইল চিত্র।

স্বাধীনতার আগের কথা। রাজনৈতিক ডামাডোলে জন্মভূমির ভিটে-মাটি ছেড়ে সৌদামিনী চক্রবর্তী ছোট মেয়ে মায়াকে নিয়ে চলে আসেন ধানবাদে। ফেলে আসেন বড় মেয়ে বীণাপানি চক্রবর্তী এবং জামাই গোপাল চক্রবর্তীকে। তার পরে এল স্বাধীনতা। দেশভাগ। ভাগাভাগিতে বীণাপাণি এবং গোপাল রয়ে গেলেন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ)। আর সৌদামিনী এবং মায়ার দেশ ভারত। সেই মায়াই এখন ৯০ ছুঁই ছুঁই। মাঝে মাঝেই মনে পড়ে দিদি বীণাপানির কথা। ‘শোলোক-বলা কাজলা’-দিদির খোঁজ এনে দিতে বলেছিলেন ছেলেকে। আর এত দিনে কাঁটাতারের বাধা কাটিয়ে দিদির খোঁজ পেয়েছেন বোন। সেই দিদি বীণাপানি, আজ আর বেঁচে নেই। রয়েছেন তাঁর তিন ছেলে এবং তাঁদের সংসার। তাঁরা থাকেন বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। মায়া থাকেন কাশীপুরে, কলকাতায়। তাঁর ছেলে শুভেন্দু সাইবার সিকিউরিটি-র বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘মায়ের ইচ্ছা পূরণ করে দেওয়ার জন্য হ্যাম রেডিয়োকে ধন্যবাদ। মাসির পরিবারের খোঁজ পেয়ে মা খুশি। কিন্তু মাসি বেঁচে নেই শুনে একটু ভেঙেও পড়েছেন।’’

Advertisement

শুভেন্দু জানিয়েছেন, তাঁর মামা কমলেন্দু চক্রবর্তী ধানবাদে চাকরি করতেন। দিদিমা, মাকে নিয়ে তাঁর কাছে চলে এসেছিলেন। মায়ের ইচ্ছের কথা জানতে পেরে জানুয়ারিতে শুভেন্দু যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিয়ো ক্লাবের সদস্য অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের সঙ্গে। অম্বরীশ জানিয়েছেন, হ্যাম রেডিয়োর তরফে যোগাযোগ করা হয় অ্যামেচার রেডিয়ো সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর সদস্য সোহেল রানার সঙ্গে। তাঁরা খোঁজ শুরু করেন বীণাপানির। অবশেষে গত শনিবার জানা যায় বাংলাদেশের হবিগঞ্জে রয়েছে বীণাপানির পরিবার। জানা যায়, বীণাপানির চার ছেলের মধ্যে এক ছেলে মারা গিয়েছেন। আর এক ছেলে রঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে অম্বরীশের। মায়ার খোঁজ পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন রঞ্জিত। বলেন, ‘‘মাসির সঙ্গে আমার যোগাযোগ করিয়ে দিন। কৃতজ্ঞ থাকব।’’এ দিন, মঙ্গলবার মায়া এবং শুভেন্দুর সঙ্গে রঞ্জিতদের ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন