অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা

অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। দিন দশেক আগে প্রতিবেশী সেই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। দিন দশেক আগে প্রতিবেশী সেই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক তাঁর সঙ্গে সহবাস করে বলে অভিযোগ। পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। মঙ্গলবার মালদহের সামসি এলাকায় ট্রেন থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তরুণী। তাঁর ডান হাত কাটা গিয়েছে। তরুণীর পরিবারের দাবি, ওই যুবকই তাঁকে ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে।

Advertisement

পরিবারের কথায়, সম্প্রতি ওই যুবক অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। সে কথা জানার পরেই ওই তরুণী তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই যুবক চাপ দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত, সে ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলেও ফের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই কথা বিশ্বাস করে তাঁদের মেয়ে এ দিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ওই তরুণীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে বিহারে এক আত্মীয়ের বাড়ি নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই যুবক। তরুণীর বাড়ির লোকের ধারণা, এই দিন ভোরে তাঁদের মেয়ে ওই যুবকের সঙ্গেই কাটিহার-মালদহ প্যাসেঞ্জারে ওঠেন। ট্রেনটি সামসি স্টেশনে ঢোকার মুখে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে ট্রেনটি সামসি স্টেশনে ঢোকার সময় প্ল্যাটফর্মের ঠিক আগে লাইনের উপরে আছড়ে পড়েন ওই তরুণী। তাতেই ডান হাত কেটে যায়। তদন্তে পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনা আত্মহত্যার চেষ্টাও হতে পারে। তবে ওই তরুণীর পরিবারের স্পষ্ট দাবি, ওই যুবকই তাঁদের মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য ঠেলে ফেলে দিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য, স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনের গতি কম ছিল বলে ওই তরুণী বেঁচে গিয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবকই তাঁর এই অবস্থার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী।

পুলিশ জানিয়েছে, জখম তরুণী ও অভিযুক্তের বাড়ি মালদহের রতুয়া থানার বাহারাল এলাকায়। দিন দশেক আগে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তরুণী। তারপরেও পুলিশ কেন তাকে ধরেনি, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। পুলিশের অবশ্য দাবি, ওই যুবক পলাতক। রেল পুলিশের মালদহের আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

১৮ ডিসেম্বর পুলিশের দ্বারস্থ হন বছর বাইশের ওই তরুণী। ডাক্তারি পরীক্ষার পর সোমবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এলাকায় থাকলেও পুলিশ তাকে ধরেনি, এমন অভিযোগও তুলেছে তরুণীর পরিবার। চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার অবশ্য বলেন, ‘‘ তল্লাশি চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আবার তল্লাশি হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন