ধর্মের রং দূরে হটাতে আবেদন বিশিষ্টদের 

বিশিষ্টজনেদের আশঙ্কা, ‘যদি আমরা সবাই মিলে, সচেতন ভাবে এর প্রতিরোধের আয়োজন না করতে পারি, তা হলে বহু কাল ধরে যে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্ব করতাম, তা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০৩:৫৬
Share:

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গোলমালের ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল।—ছবি এএফপি।

লোকসভা ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রতিরোধের লক্ষ্যে একটি নাগরিক-সভার ডাক দিয়েছেন বিশিষ্টজনেদের একাংশ। শনিবার আহ্বায়কদের তরফে নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অশোক মুখোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, চন্দন সেন প্রমুখ এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছ’টায়, রবীন্দ্রসদনে সভাটি সম্পন্ন হওয়ার কথা।

Advertisement

শঙ্খ ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, সুকান্ত চৌধুরী, দেবেশ রায়, মিরাতুন নাহার, ওয়াসিম কপূর প্রমুখেরও নাম রয়েছে বিবৃতিটিতে। তাতে বলা হয়েছে, ‘ভোটের পরে দেশে এক মাত্র পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অশান্ত। পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বাড়ছে। সামাজিক অনুষ্ঠান এবং আচরণবিধিতেও সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। ...রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ধর্ম আর দলীয় সন্ত্রাস হাত ধরাধরি করে চলেছে।’ ওই বিশিষ্টজনেদের আশঙ্কা, ‘যদি আমরা সবাই মিলে, সচেতন ভাবে এর প্রতিরোধের আয়োজন না করতে পারি, তা হলে বহু কাল ধরে যে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য নিয়ে আমরা গর্ব করতাম, তা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।’

রুদ্রবাবু, অশোকবাবুরা বলছিলেন, প্রথমে ভাটপাড়া এলাকায় অশান্তি নিয়েই তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তার পথ খুঁজতে শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে গিয়েও দেখা করেন ওঁরা কয়েক জন। তখনই নাগরিক সভাটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গোলমালের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টাতেও তাঁরা উদ্বিগ্ন। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘আমাদের বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে, তার পাশাপাশি নীলরতনের ঘটনাসমূহ নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।’’ বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্বদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সংবেদনশীল ভঙ্গিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অচলাবস্থা কাটাতে সফল হবেন। তবে এই নাগরিক-সভাটিতে সাম্প্রদায়িক ফাটল বোজানোই লক্ষ্য বিশিষ্টজনেদের। নাম না-করে রাজ্যে দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দল (বিজেপি ও তৃণমূল)-এর ভূমিকাই শোধরানোর আর্জি জানান তাঁরা। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘দু’টি দলকেই বলব, ধর্মকে রাজনীতি থেকে দয়া করে সরিয়ে রাখুন!’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন