বিধানসভায় এ বার কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা হলেন বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল মান্নান। দু’দিন আগেই কংগ্রেস বিধায়কেরা মুখবন্ধ খামে ওই পদের জন্য তাঁদের পছন্দের নাম জানিয়েছিলেন। এআইসিসি-র তরফে অম্বিকা সোনি, সি পি যোশীরা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সোমবার এইআইসিসি-র তরফে এ রাজ্যের কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক যোশী ফোন করে মান্নানকে জানিয়েছেন, পরিষদীয় দলনেতার দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। অর্থাত্ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কদের ভোট গিয়েছে মান্নানের পক্ষেই। চাঁপদানির বিধায়ক এ বার কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা হওয়ায় তাঁর বিরোধী দলনেতা হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে বিধানসভা ভোটে লড়ে কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪টি আসন। তারাই বৃহত্তম বিরোধী দল। সেই হিসাবে বিরোধী দলনেতার পদ কংগ্রেসের দখলে আসবে। তিনি পরিষদীয় দলের নেতা হওয়ায়, পরে বিরোধী দলনেতার আসনেও বসবেন মান্নান। দিল্লির সিদ্ধান্ত জানার পরে মঙ্গলবার সকালেই বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মান্নান এ দিন বলেন, ‘‘মানুষের স্বার্থে যে লড়াই রাস্তায় করেছি। সারদায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছি। সেই একই লড়াই বিধানসভার ভিতরেও করব। মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বিরোধী জোট বজায় থাকবে।’’ কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতার দায়িত্ব পাওয়ার পরে সিপিএম নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মান্নান। তাঁর পরিকল্পনা আছে বিরোধী জোটের মোট ৭৮ জন বিধায়ককে নিয়েই এক টেবিলে বসে বিধানসভায় বিরোধী পক্ষের রণকৌশল ঠিক করা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আলিমুদ্দিনে বাম পরিষদীয় দলেরও বৈঠক আছে। যেখানে বাম বিধায়কদের আনুষ্ঠানিক ভাবে সুজন চক্রবর্তীকে বাম পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা।
আরও পড়ুন...