তাঁদের মামলার জেরেই সারদা-কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বার সেই তদন্ত যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে ফের সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চাইতে চলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও তাঁর সঙ্গীরা। মান্নানের অভিযোগ, সারদার তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে তৃণমূলের এক বিশিষ্ট নেতা সম্প্রতি বিদেশে গিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় ভিন দেশের মাটিতে সারদা-কেলেঙ্কারির শিকড় সন্ধানের জন্য সিবিআইয়ের ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করছেন।
মামলার ব্যাপারে মান্নান আজ দিল্লিতে এসে আইনজীবী শুভাশিস ভৌমিকের সঙ্গে আলোচনা করেন। আইনজাবী বিকাশ ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকার সিবিআই’কে সহযোগিতা করবে। কিন্তু সিট সব কাগজপত্র সিবিআই’কে দিচ্ছে না, কেলেঙ্কারির তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হচ্ছে।” মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব, এক আইপিএস-কে নিয়ে সিবিআই-প্রধানের সঙ্গে দেখা করছেন। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে চেয়ে আমরা ফের মামলা করছি।” মান্নানের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বলা হয়েছিল, আবেদনকারীরা প্রয়োজনে ফের আদালতে আসতে পারে।
এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো গত কাল সিবিআইয়ের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন, আসল অপরাধীদের আড়াল করবেন না!
এ প্রসঙ্গে মান্নানের যুক্তি, “তার মানে মুখ্যমন্ত্রী জানেন, আসল অপরাধী কারা! তিনি বলছেন না কেন? মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনের সম্পত্তি কী ভাবে এত বেড়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখা হোক।”
সিবিআই-সূত্রের খবর, সারদা-কেলেঙ্কারির তদন্তকারী দলটিকে আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ডাকা হতে পারে। সিবিআই-প্রধান রঞ্জিত সিনহা দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে তদন্তের পর্যালোচনা ও আগামী কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।