Abhishek Banerjee

শাহও বলেছেন চাপের কথা, দাবি অভিষেকের

নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট অভিষেককে জেরা করার পক্ষে রায় দিয়েছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় এ দিন অভিষেক টেনে আনেন অমিত শাহের প্রসঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ০৫:৩৯
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খোঁচা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।

সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে ‘চাপ দিয়ে নাম বলিয়ে নেয়’, সেই দাবি থেকে সরছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট অভিষেককে জেরা করার পক্ষে রায় দিয়েছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় এ দিন ফের সেই দাবি করে অভিষেক টেনে আনেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রসঙ্গ। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সম্প্রতি এই রকম অভিযোগ করে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর নাম বলতে তাঁর উপরেও চাপ তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি, নারদ মামলায় অভিযুক্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা না করার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষাপাতিত্বের অভিযোগও করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

জনসংযোগ যাত্রায় এ দিন দুর্গাপুরে ছিলেন অভিষেক। তার ফাঁকেই হাই কোর্টের রায়ের বিষয়টি সামনে আসে। প্রতিক্রিয়ায় ফের নিজের অভিযোগের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি যে দিন এই কথা বলেছি, সে দিনই সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সিবিআই তাঁকেও চাপ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর নাম নিতে। তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘নরেন্দ্র মোদীর নাম নাও, তা হলে তোমাকে ছেড়ে দেব’।’’ তাঁর দাবি, এতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা পরিচালনায় রাজনৈতিক ভূমিকা মান্যতা পায়।

Advertisement

রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘অমিত শাহ যখনকার কথা বলেছিলেন, তখন কেন্দ্রীয় সংস্থা ছিল খাঁচাবন্দি তোতা। এখন আর নেই। শাহের শরীরের ১৮টি অংশ ভেঙে মৃত বলে কংগ্রেস ফেলে রেখে গিয়েছিল। আজ তিনি জিতেছেন, জিতিয়েছেন।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছিল, তিনি তদন্তের মুখোমুখি হয়ে আইনি পথে জয়ী হয়েছেন। কখনও তদন্ত আটকানোর কিংবা আদালতকে অসম্মান করার চেষ্টা করেননি।’’

দুর্নীতির তদন্তে কোর্টের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষাপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ করে নারদ মামলার প্রসঙ্গও টেনে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের কাছে অভিযুক্ত, যাঁকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে সিবিআই যখন ডাকে না,তখন কোর্টের তৎপরতা দেখা যায় না।’’ নাম না করে এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক এ দিন বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অনেকে অনেক চেষ্টা করছে। ইডি, সিবিআই, আইএফএসও, আয়কর, সবই তো আপনাদের অধীনে রয়েছে। আপনারা লাগান। আমি তো বলেছি, আমার বিরুদ্ধে কোনও তদন্তকারী সংস্থা লাগাতে হবে না। আপনি এক হাতে প্রমাণ দিন। এক হাতে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করুন। আমাকে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন