Abhishek Banerjee

১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই নতুন তৃণমূল ভবনের শিলান্যাস করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এমনিতেই ১ জানুয়ারি প্রতি বছর পতাকা উত্তোলন করতে যেতেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। রবিবার শিলান্যাসের সময়ে অভিষেকের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন তিনিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৩২
Share:

১ জানুয়ারিই দলের নতুন কার্যালয়ের শিলান্যাস করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

১৯৯৮ সালের পয়লা জানয়ারি রাজনৈতিক ভাবে পথচলা শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল। সেই ১ জানুয়ারিই দলের নতুন কার্যালয় নির্মাণের সূচনা করবে বাংলার শাসকদল। সেই কাজের শিলান্যাস করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরেই তপসিয়া থাকা দলের সদর কার্যালয়কে নতুন করে তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের পরিসর বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই নতুন করে কার্যালয় নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

তাই গত বছরের শেষ ভাগ থেকেই তৃণমূল ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। এ বার সেই জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এমনিতেই ১ জানুয়ারি প্রতি বছর পতাকা উত্তোলন করতে যেতেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। রবিবার শিলান্যাসের সময় অভিষেকের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন তিনিও। এ ছাড়াও থাকবেন দলের শাখা সংগঠনের প্রধান-সহ গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ ও বিধায়কেরা।

পুরোনো এই তৃণমূল ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রবিবার এখানেই শিলান্যাস হবে নতুন কার্যালয়ের। ফাইল চিত্র।

পুরোনো তৃণমূল ভবনটি ভাঙা সময় ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের সাউথ ক্যানল রোডের একটি অতিথিশালায় স্থানান্তিরত হয় তৃণমূলের সদর কার্যালয়। চলতি বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই অস্থায়ী পার্টি অফিসে পুজো করলে, সেখানেই সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু হয়। গত মে মাসের ৫ তারিখে সেই অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে একটি বৈঠক করে এসেছেন মমতা। কিন্তু তৃণমূল ভবন তার নিজের জায়গায় ফিরুক, চান দলের শীর্ষ নেতারা। তাই ২০২৩ সালের শুরুতে শিলান্যাস করে নতুন কার্যালয় নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

৩৬ জি, তপসিয়া রোডের তৃণমূল ভবন পথ চলা শুরু করেছিল ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে। সেই থেকে ওই দলীয় কার্যালয়ে কোনও সংস্কার হয়নি। কিন্তু তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ‘কর্পোরেট অফিস’ গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছেন। ঝাঁ চকচকে নতুন এই তৃণমূল ভবনে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। শাখা সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্য বরাদ্দ থাকবে বসার ঘর। সেইসঙ্গে থাকবে জেলাকর্মীদের জন্য পৃথক পৃথক বসার ব্যবস্থা। তৈরি হবে বিরাট প্রেস কনফারেন্স রুম ও হল। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হবে নতুন এই কার্যালয়ে। থাকছে ক্যান্টিন, গাড়ি রাখার পার্কিং লটও। কর্পোরেট ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হবে তৃণমূল ভবনের পরিবেশ। নতুন রূপে তৃণমূল ভবন তৈরি করতে অর্থ দিচ্ছেন পার্টির নেতা কর্মীরাই। সাংসদদের থেকে এক লক্ষ করে টাকা নেওয়া হবে। বিধায়কদের থেকেও দলীয় কার্যালয় নির্মাণে অর্থ নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন