Jafikul Islam

তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে নগদ টাকার গুনতি ৩৫ লাখ পেরোল, এখনও বাকি একটি ব্যাগ, চলছে যন্ত্র

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জাফিকুলের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। দুপুরে আনা হয় টাকা গোনার যন্ত্র। বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা ও ডোমকল শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে ঢুকেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল, মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের শোয়ার ঘরেও তল্লাশি অভিযান চলছে। সেখান থেকেও প্রচুর টাকা মিলেছে বলেই দাবি সিবিআইয়ের ওই সূত্রের।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জাফিকুলের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই কর্তারা জাফিকুলের বাড়িতে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে বাড়ির গোটা চত্বর ঘিরে ফেলা হয়। এর পর দুপুর নাগাদ নিয়ে আসা হয় টাকা গোনার যন্ত্র। পরে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের লফ্‌ট থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও প্রায় ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও বাড়ির অন্যান্য ঘর থেকে কয়েক লাখ টাকা মিলেছে। সব মিলিয়ে বিধায়কের বাড়ি থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেই দাবি। আরও দাবি, এখনও একটি টাকাভর্তি ব্য়াগ রয়েছে। তার নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এ ব্যাপারে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও কোনও সূত্রে বলা হচ্ছে, জাফিকুলের বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকা বৈধ না অবৈধ, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। যদি ব্যবসার টাকা হয়, তা হলে তার বৈধতা নিয়ে কার কী বলার আছে? আর যদি অবৈধ হয়, তা হলে দলের অবস্থান আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন— জ়িরো টলারেন্স।’’

Advertisement

রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায় বৃহস্পতিবার সকালে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সী তথা বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী এবং কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়ি। দেবরাজের দু’টি বাড়িতে যান তাঁরা। তবে দুপুর ৩টের মধ্যে ওই দু’টি ঠিকানা থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই। বাপ্পাদিত্যের বাড়ি থেকেও দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন