আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)
একেই পঞ্চায়েত ভোটে গোহারা হেরেছেন। তার উপরে অন্য সব দলের নেতারা এসে নুনের ছিটে দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার বলছেন, ‘কংগ্রেস তো আর জিততে পারবে না, তাই আমাদের দলে আসুন।’ এই সবে ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকা আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে আর মেজাজ ধরে রাখতে পারলেন না। রীতিমতো তেড়ে গেলেন।
কংগ্রেসের লোকজন আড়ালে আবডালে বলছেন, মেজাজ হারানোরই কথা। যে তৃণমূল দু’বছর আগে বিধানসভা ভোটে একটাও আসন পায়নি, তারা অবলীলায় দখল করে নিল জেলা পরিষদ। কয়েক জায়গায় সন্ত্রাসের নালিশ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাতেও নিজেদের ভূমিক্ষয়ের ব্যাখ্যা কী ভাবে দেবেন ডালুবাবু বা মৌসম নূরেরা?
এর মধ্যে আবার গত ৫ জুন মালদহে এসে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুর্শিদাবাদের মতো মালদহ জেলাতেও কংগ্রেস তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে। এই জেলার কংগ্রেসের তথাকথিত রাঘববোয়ালেরা তৃণমূলের নৌকায় উঠবে।” তার পরে আবার কংগ্রেস নেতাদের দলে ঠাঁই দিতে ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এই নিয়ে এ দিন প্রশ্ন করা হলে দক্ষিণ মালদহের সাংসদ ডালুবাবু প্রচণ্ড খেপে গেলেন। বলেন, “আমি কী করে বলব! যাঁরা ওই সব বলেছেন, তাঁদের গিয়ে বলুন।” তিনি আরও বলেন, “কেন এ সব প্রশ্ন করছেন? আমি কংগ্রেসে আছি, থাকব, থাকব, থাকব।”
এই ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে মালদহে। এক পক্ষের কথায়, লোকসভা ভোটের আর এক বছরও বাকি নেই। তাতে ডালুবাবু এবং মৌসম তাঁদের দুই আসন জিততে পারবেন কিনা, পঞ্চায়েত ভোটের পরে সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাই মেজাজও গরম। তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে হারের পর ডালুবাবুরা যে দিশাহারা, তা এ দিন তাঁর অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট হয়ে গেল।’’