ধর্মতলায় এবিভিপি-র প্রতিবাদ। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির ডাকা বন্ধের আগের দিন মঙ্গলবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল ধর্মতলায়। পুলিশ লাঠিপেটা করে গ্রেফতার করল এবিভিপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আশিস চৌহান-সহ সংগঠনের আট কর্মীকে। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবিভিপি-র মিছিল, ধর্মতলায় অবরোধ এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ওই এলাকায় যানচলাচল ব্যাহত হয়। এবিভিপি-র মিছিলে এ দিন বেশ কিছু কিশোর মুখও দেখা গিয়েছে। যাদের কেউ কেউ জানিয়েছে, তারা সপ্তম, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। তাৎপর্যপূর্ণ হল, স্কুলের সময়ে কোনও স্কুলপড়ুয়াকে সভা-সমাবেশে নিয়ে যাওয়া রুখতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকা ব্যবহার করে অতীতে এসইউসি-র কিশোর বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
ইসলামপুরে দুই ছাত্রের হত্যার প্রতিবাদে এ দিন স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে এবিভিপি। লেনিন সরণির মোড়ে মানববন্ধন করে মিনিট ১৫ অবরোধও করে তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুলে লাথি মেরে তা পোড়ানো হয় সেখানে। শমীক ভট্টাচার্য, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মী ওই কর্মসূচিতে ছিলেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পর অবরোধ উঠে যায় এবং পুলিশের নির্দেশে গাড়ি চলতে শুরু করে। তখন আচমকা ফের রাস্তা অবরোধ শুরু করেন এবিভিপি কর্মীরা। ইট ছুড়ে তাঁরা গাড়ির কাচও ভাঙেন বলে অভিযোগ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠি চালালে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। কিন্তু আবার তাঁরা ফিরে আসেন মিনিট খানেকের মধ্যেই। আবার পুলিশ লাঠি চালায়। এই রকম বার তিনেক ঘটে এবং পুলিশ আট এবিভিপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিভিপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আশিস এ দিন জানান, ইসলামপুর-কাণ্ডের সিবিআই তদন্ত চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন, ইসলামপুরের এক মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের ভূমিকাও সিবিআই তদন্তের আওতায় আনতে হবে। নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।’’