ওঁরা মাওবাদী নন, দাবি আইনজীবীর

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) বিশাল গর্গ শনিবার জানিয়েছিলেন, পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে এসে ব্রিগে়ড প্যারেড গ্রাউন্ডে ধরা পড়েছেন মাওবাদী দম্পতি বিকাশ ও তারা। ধৃতদের আইনজীবী শুভাশিস রায় রবিবার আদালতে বলেন, ওই দু’জনকে হুগলির মগরার চামরুই গ্রামে মার্বেল কারখানা থেকে তুলে এনেছে এসটিএফ। ধৃতদের নাম মনসারাম হেমব্রম ও ঠাকুরমণি হেমব্রম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩৩
Share:

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিকাশ ও তারা (ডান দিকে) — নিজস্ব চিত্র

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) বিশাল গর্গ শনিবার জানিয়েছিলেন, পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে এসে ব্রিগে়ড প্যারেড গ্রাউন্ডে ধরা পড়েছেন মাওবাদী দম্পতি বিকাশ ও তারা। ধৃতদের আইনজীবী শুভাশিস রায় রবিবার আদালতে বলেন, ওই দু’জনকে হুগলির মগরার চামরুই গ্রামে মার্বেল কারখানা থেকে তুলে এনেছে এসটিএফ। ধৃতদের নাম মনসারাম হেমব্রম ও ঠাকুরমণি হেমব্রম। ওঁদের কেউই মাওবাদী নন। সাধারণ গ্রামবাসী।

Advertisement

আদালতে এই বক্তব্য পেশের সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে জানান শুভাশিসবাবু। আদালত কক্ষ থেকে বার করার সময়ে ধৃতদের মুখ যাতে ঢেকে দেওয়া না-হয়, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুভাশিসবাবু জানান, অভিযুক্তদের মুখ ঢেকে আদালত থেকে বার করার কথা আইনে বলা নেই। অন্য কোনও রাজ্যেই এমন হয় না। তাঁর অভিযোগ, নিরপরাধ ব্যক্তিদের অভিযুক্ত সাজিয়ে আদালতে মুখ ঢেকে নিয়ে আসা হয়। আবার পরে তাঁদেরই ছবি বিলি করে লালবাজার। এ দিন শেষ পর্যন্ত শুভাশিসবাবুর দাবি মেনে ধৃতদের মুখ না-ঢেকেই তাঁদের গাড়িতে তুলে আদালত ছাড়ে পুলিশ।

ব্যাঙ্কশাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আধিকারিক বিচারক এডেন লামাসার এজলাসে দুই অভিযুক্তকে হাজির করানো হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীর দাবি, ধৃতদের নামে ভুয়ো কাগজ তৈরি করে এবং তাঁদের কাছে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে দেশদ্রোহ ও অপরাধমূলক ষ়ড়যন্ত্র-সহ একাধিক মামলা সাজানো হয়েছে। সরকারি আইনজীবী পীযূষ মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গ্রেফতারের সময়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে পিস্তল, গুলিভরা ম্যাগাজিন ও মাওবাদী প্রচারপত্র পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের হুগলির বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছে একে-৪৭ রাইফেল এবং কার্তুজ। ওঁরাই মাওবাদী দম্পতি বিকাশ ও তারা বলে জানান তিনি। বিচারক ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন