John Barla

John Barla: জমি নিয়ে শ্রমিক পরিচয়ই ঢাল বার্লার

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিতর্কে জন। এর মধ্যেই অভিযোগ ওঠে ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে তাঁর বিশাল বাড়ি নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২১ ০৫:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

সরকারি লিজ়ে থাকা জমি জবরদখল করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ দিন সেই অভিযোগ কার্যত মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন নিজের চা শ্রমিক পরিচয়। বার্লা বলেন, “রাজ্য সরকার শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেয়নি। পরিবার বড় হচ্ছে। একটা ঘরে থাকা যায় নাকি? আমরা থাকব কোথায়?” ‘শ্রমিক’ প্রসঙ্গে বার্লাকে কটাক্ষ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ। তাঁর প্রশ্ন, “কোনও শ্রমিক এমন প্রাসাদের মতো বিলাসবহুল বাড়ি বানাতে পারেন নাকি? শ্রমিকেরা কি ঢাউস গাড়িতে সঙ্গে গাদা গাদা লোক নিয়ে ঘোরেন? আর বেশি কিছু বলতে চাই না।”

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিতর্কে জন। এর মধ্যেই অভিযোগ ওঠে ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে তাঁর বিশাল বাড়ি নিয়ে। বাড়ির অন্দরে দামি আসবাব রয়েছে বলে বিজেপির ভিতরেই চর্চা। তৎকালীন জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি তৈরির নালিশ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে জেলা প্রশাসন। দেখা যায়, সরকারি লিজ়ে থাকা জমিতে বাড়ি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় চা বাগানের সম্মতি তিনি নিয়েছেন কি না সন্দেহ রয়েছে। চা বাগান কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে জেলা প্রশাসন। চা বাগান থেকে বার্লাকে নোটিসও ধরানো হয়েছে।

এ দিন এই প্রসঙ্গে বার্লা নিজের ‘চা শ্রমিক’ পরিচয়কেই এগিয়ে দেন। যা নিয়ে তৃণমূলের এক চা শ্রমিক নেতার বক্তব্য, “জমি জবরদখল করে কোটি কোটি টাকা দিয়ে বাননো বাড়ি রক্ষা করতে এখন নিজের চা শ্রমিক পরিচয়ের আশ্রয় নিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।” রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, “পিছিয়ে পড়া সমাজের লোকেরা মন্ত্রী হয়েছেন, এটা তৃণমূল হজম করতে পারছে না। তাই ব্যক্তি আক্রমণ শুরু করেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন