মাস দুয়েক আগে বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রথম চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। সেই মামলাতেই বুধবার অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়।
ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র পরে বলেন, ‘‘আদালত অতিরিক্ত চার্জশিট গ্রহণ করেছে। তার সঙ্গে সব তদন্ত রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে।’’
আদালত সূত্রের খবর, প্রথম চার্জশিটে রোজভ্যালি রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডু-সহ সাত কর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি অভিযোগ আনা হয়েছিল। গৌতম এখন জেল-হাজতে রয়েছেন। পরে অমিত বন্দ্যোপ্যাধায় নামে রোজভ্যালির অন্য এক কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রধানত এজেন্টদের নেতা ছিলেন। এ দিন অমিতের সঙ্গে রোজভ্যালির প্রাক্তন এজিএম (অ্যাকাউন্ট্যান্ট) সুধীর সাউয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সুধীর ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ওই সংস্থার হিসেব সামলেছেন এবং সেই সময়েই বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয় হয়েছে। তবে তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি বলে এ দিন অতিরিক্ত চার্জশিটে জানানো হয়েছে।
ইডি-র তদন্তকারীদের অভিযোগ, অমিত আর সুধীর দু’জনেই আমানতকারীদের টাকা নানা খাতে ও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন।
নানা ভাবে টাকার বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ-সহ অনেক কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে। অমিত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। রোজভ্যালির বিরুদ্ধে যাঁরা এফআইআর করেছেন, অমিত তাঁদের হুমকিও দিয়েছেন বলে ইডি-র অভিযোগ। আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁরা যে জড়িত ছিলেন, জেরার মুখে অমিত ও সুধীর তা স্বীকার করেছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।