সব্যসাচীর অফিসের সামনে ধর্নায় বসার হুমকি দিলেন অধীর

ভাঙড়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া গ্রামবাসীদের দোকান খুলতে দিচ্ছে না রাজারহাট-নিউটাউনের মেয়র তথা বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের অনুগামীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাঙড় ও আমডাঙা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৪
Share:

গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন অধীর। —নিজস্ব চিত্র।

ভাঙড়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া গ্রামবাসীদের দোকান খুলতে দিচ্ছে না রাজারহাট-নিউটাউনের মেয়র তথা বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের অনুগামীরা। রবিবার সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে কাছে পেয়ে এই অভিযোগ জানালেন ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের একাংশ। অধীরবাবু এ দিনই আমডাঙায় গিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ভাঙড়ের খামারআইট গ্রামে আসেন অধীরবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি অর্ণব রায়, রাজারহাট জমি আন্দোলনের সংগঠক তথা স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শেখ নিজামউদ্দিন প্রমুখ৷ সেখানে গ্রামবাসীদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদেশ সভাপতি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সম্প্রতি রাজারহাট-নিউটাউন এলাকায় মাছিভাঙা, খামারআইট গ্রামের বেশ কিছু ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ এবং ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সব্যসাচীবাবুর অনুগামীরাই এসব করছেন। এর উত্তরে অধীরবাবু বলেন, ‘‘আপনারা পাশে থাকলে আমরা দাঁড়িয়ে থেকে দোকান খুলে দেব। শুধু আপনাদের সাহস রাখতে হবে।’’ প্রয়োজনে সব্যসাচীবাবুর অফিসের সামনে ধর্নায় বসার হুমকি দেন তিনি।

আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। জেলে ভরে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে। অধীরবাবু তাঁদের আইনজীবী দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব।’’ ভাঙড়ের ঘটনায় গুলিতে আহত হয়েছিলেন পদ্মপুকুর গ্রামের কলেজ পড়ুয়া জাহির হোসেন মোল্লা। এ দিন তাঁর পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা চেক দেন অধীরবাবু। এর পর প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল পদ্মপুকুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। কাদিরা বিবি নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলে এবং তাঁর স্বামীকে বিনা দোষে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁদের পরিবারকেও আইনি সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান অধীরবাবু।

Advertisement

এ দিন অধীরবাবু আমডাঙায় গেলে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তাঁকে জানান, তাঁরা উন্নয়নের পক্ষে। তাঁরা চান রাস্তা সম্প্রসারণ হোক। কিন্তু তাঁদের ক্ষতিপূরণের উপযুক্ত অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় শঙ্করপুর এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তরা অধীরবাবুকে জানান, তাঁদের এলাকায় কাঠা প্রতি জমির মূল্য আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। কিন্তু তাঁরা শুনেছেন তাদের কাঠা প্রতি ৭০ হাজার দেওয়া হবে। অধীরবাবু তাঁদের বলেন, তিনি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন