নিরাপত্তার খাতিরে সাগরমেলায় উড়ছিল নজরদারি ড্রোন। কিন্তু, তা উড়ছিল খুব নিচু দিয়ে। তাতে ধরা পড়ছিল মহিলাদের স্নান এবং পোশাক পরিবর্তনের দৃশ্য।
সোমবার সকালে নজরদারির সময়ে এই দৃশ্য নজরে পড়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের। সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ড্রোনটিকে শেষ পর্যন্ত অনেকটা উঁচু থেকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর বলেন, ‘‘আসলে যাঁরা ড্রোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন, তাঁরা ভাল ছবি তোলার জন্য কম উচ্চতায় চালাচ্ছিলেন। এ সব ক্ষেত্রে ড্রোন সব সময় একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওড়াতে হয়। সেই নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল।’’ তবে এই ঘটনায় প্রশাসন কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ভাল ছবি সবসময় বড় কথা নয়। নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে নীতি মানাটাও খুব জরুরি। মানুষের গোপনীয়তাকেও মর্যাদা দিতে হবে। সেই জন্যই সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
ঠিক কী ঘটেছিল এ দিন?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোরে স্নান শুরুর সময় থেকেই সাগরের বেলাভূমির উপরে নজরদারি চালাচ্ছিল ড্রোনটি। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য জানান, সাগরতটে মহিলাদের পোশাক বদলের জন্য প্রচুর ঘর করা হয়েছে। সেগুলির ছাউনি নেই। ড্রোনটি সেই এলাকায় খুব কম উচ্চতায় উড়ছিল। নজরে পড়তে কয়েক জন যুবতী তা তাঁদের জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিককে বিষয়টি জানাই। কিন্তু তা বন্ধ হয়নি।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলার দিকে জেলাশাসক কন্ট্রোলরুমে যান। তখনই তাঁর চোখে পড়ে ড্রোন ক্যামেরার ছবি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রেগে গিয়ে কর্মীদের ড্রোন বন্ধ করতে বলেন। পরে নির্দেশ জারি করেন, ড্রোন যেন সব সময়ে নির্দিষ্ট উচ্চতায় রাখা হয়।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবজিৎ কুণ্ডু বলেন, ‘‘আমি অন্য দিকে ছিলাম বলে বিষয়টি জানতাম না। এমন ঘটে থাকলে তা অন্যায়। আমি দেখব, যাতে আর তা না ঘটে।’’