Belpahari

খাঁদারানিতে হোম ট্যুরিজম চালুর ভাবনা

বেলপাহাড়ির খাঁদারানি ঝিল চত্বরের সৌন্দর্যায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। এলাকায় পর্যটকদের জন্য ছাউনি-সহ বসার জায়গা, পানীয় জল প্রকল্প, শৌচাগার, ঝিলের পাখি দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার, জঙ্গলপথে ট্রেকিং রুট তৈরি করা হবে। তবে এলাকাটি বন দফতরের আওতায় থাকায় সরাসরি পর্ষদের পক্ষে প্রকল্পটি রূপায়ণে সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ১৫:১৮
Share:

নিসর্গ: ঝিলে পাখিদের এমন সমাগম পর্যটকদের খুব চেনা। নিজস্ব চিত্র

বেলপাহাড়ির খাঁদারানি ঝিল চত্বরের সৌন্দর্যায়ন করতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ।

Advertisement

এলাকায় পর্যটকদের জন্য ছাউনি-সহ বসার জায়গা, পানীয় জল প্রকল্প, শৌচাগার, ঝিলের পাখি দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার, জঙ্গলপথে ট্রেকিং রুট তৈরি করা হবে। তবে এলাকাটি বন দফতরের আওতায় থাকায় সরাসরি পর্ষদের পক্ষে প্রকল্পটি রূপায়ণে সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য বন দফতরের মাধ্যমে প্রকল্পটি রূপায়ণের

সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

পর্ষদের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘খাঁদারানি এলাকাটি বনভূমি হওয়ায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু ওখানে সারা বছর অনেক পর্যটক আসেন। তাই পর্যটকদের স্বার্থে ওখানে বন্যপ্রাণ বিধি মেনে পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” সুকুমারবাবু জানান, বনভূমিতে পর্ষদ সরাসরি কাজ করতে পারবে না। তাই বন দফতরের কাছ থেকে প্ল্যান চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

তিন দিকে পাহাড়ে ঘেরা খাঁদারানি ঝিলে বছর ভর নানা পরিযায়ী পাখি ও বালিহাঁসের আনাগোনা লেগে থাকে। ঝিলে স্নান নিষিদ্ধ হলেও অনেক সময়ই পর্যটক বা বনভোজন করতে এসে অনেকেই সেই নিময় মানেন না বলে অভিযোগ। এমন এলাকায় বনভোজন ও মাইক বাজানোও বন্যপ্রাণ আইন বিরুদ্ধ। কিন্তু সেই নিয়মও মানা হয় না অনেক সময়। পরিকাঠামো না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় বহিরাগতদের। খাঁদারানিতে প্রশাসনের উদ্যোগে শৌচাগার তৈরি হয়েছে। তবে সেখানে জলের বন্দোবস্ত নেই।

আরও পড়ুন- সঙ্গে থাক মেদিনীপুর, চাইছে ঝাড়গ্রাম

এক সময় বিভিন্ন বেসরকারি পর্যটন সংস্থা খাঁদারানি ঝিলে বোটিং চালুর জন্য বন দফতরের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু ওই ঝিলে প্রচুর পাখি থাকে বলে অনুমতি মেলেনি।

তবে বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, পর্যটকদের স্বার্থে খাঁদারানি ঝিলের কাছে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।

ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থা খাঁদারানিতে হোম ট্যুরিজম চালু করতে আগ্রহী। সংস্থার কর্তা সুমিত দত্ত বলেন, “প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি না করে আমরা স্থানীয় গ্রামবাসীর বাড়িতে হোম স্টে চালু করতে চাইছি।” ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচ্চি বলেন, “শীঘ্রই পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কাছে টাকা চেয়ে পরিকল্পনা জমা দেওয়া হবে। পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে উঠলে হোম স্টে-র জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন