—প্রতীকী ছবি
তিন বছরে রাজ্যে লো-ভোল্টেজের সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে ৭ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, নয়া সাবস্টেশন তৈরি, ট্রান্সফর্মার ও ফিডার বসানো-সহ শক্তিশালী বিদ্যুৎবাহী তার লাগিয়ে ভোল্টেজ সমস্যা মেটাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রকল্পে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রও টাকা দিচ্ছে। সময়ে কাজ শেষ করতে নজরদারি কমিটিও হচ্ছে।
রাজ্যে প্রায় সব গ্রামেই বিদ্যুৎ পৌঁছেছে বলে দাবি সরকারের। কিন্তু অভিযোগ, আলো ক্ষীণ, পাখা চলে শম্বুক গতিতে, টিভির পর্দা কাঁপে। অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাতেই ঘুম ছুটেছে বিদ্যুৎ কর্তাদের। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দিয়েছেন, তা পালনের নির্দেশ দিয়েছি।’’
গ্রামে লো-ভোল্টেজ সমস্যা নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মায় তা নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, লো-ভোল্টেজের জন্য গ্রামগঞ্জে ঠিক মতো আলো জ্বলে না, চাষের পাম্প চালানোও কঠিন হয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য কার্যত মেনেছেন বণ্টন সংস্থার কর্তাদের একাংশ। তাঁদের ব্যাখ্যা, গত কয়েক বছরে অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিক গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় লো-ভোল্টেজ সমস্যা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে পারেননি। রাজ্যের এক বিদ্যুৎ কর্তা স্বীকার করলেন, গত ছ’বছর গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ যে গতিতে এগিয়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়নি।
বণ্টন সংস্থা সূত্রে খবর, পরিকাঠামো উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করতে বছর দেড়েক আগে কাজ শুরু হয়। ঠিক হয়, গ্রাহককে উন্নত মানের বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে নতুন ১২৭টি সাবস্টেশন-সহ ৩০ হাজার ট্রান্সফর্মার বসানো হবে। বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার মোটা তার লাগানো হবে। ক্ষমতা বাড়ানো হবে কিছু পুরনো সাবস্টেশনের। বণ্টন কর্তাদের আশ্বাস, আগামী তিন বছরে এই কাজগুলি করে ফেলতে পারলে রাজ্যে লো-ভোল্টেজের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।