এক পা ভাঙলে দু’পা ভাঙার নিদান দিলীপের!

তবে দিলীপবাবুর বক্তব্য শুনে রাজ্য বিজেপি-র একাংশেই প্রশ্ন, খোদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় এসে যেখানে বুথ স্তর অবধি সংগঠন বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন, সেখানে এ হেন মন্তব্যে দলের কি গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৩
Share:

দলের সংগঠন এখনও মজবুত নয়। কিন্তু উত্তেজক মন্তব্য করায় বিরাম নেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের! এ বার তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলের কায়দায় নিজের দলের কর্মীদের প্রতি দিলীপবাবুর নিদান, পঞ্চায়েত ভোটে ‘বহিরাগত’ ঢুকলে সে যেন ‘সুস্থ’ অবস্থায় বাড়ি না ফিরতে পারে। বহিরাগত বলতে তিনি যে রাজ্যের শাসক দলকেই বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট।

Advertisement

তবে দিলীপবাবুর বক্তব্য শুনে রাজ্য বিজেপি-র একাংশেই প্রশ্ন, খোদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় এসে যেখানে বুথ স্তর অবধি সংগঠন বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন, সেখানে এ হেন মন্তব্যে দলের কি গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে? পুরুলিয়ার জয়পুরে আরবিবি স্কুল মাঠে বৃহস্পতিবার ভিড়ে-ঠাসা জনসভায় দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত ভোটের দিনে গ্রামে বহিরাগত ঢুকলে আটকান। গ্রাম পাহারা দিন। পাহারা দিতে গেলে যদি আপনার একটা হাত ভাঙে, তা হলে ওদের দু’টো হাতই ভেঙে দিন! একটা পা ভাঙলে, দু’টো পা ভেঙে দিন! নতুন লোক গ্রামে ঢুকলে সে যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরতে না পারে। হাসপাতাল হয়ে বাড়ি যেতে হয়।”

রাজ্য সভাপতিকে যোগ্য সঙ্গত করে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী তৃণমূলকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন— ‘‘বিজেপি কর্মীদের গায়ে যদি হাত পড়ে, তা হলে তৃণমূলের কোনও নেতা বাঁচতে পারবে না। ক্ষমতায় আসার পরে, সেই হাত কেটে রাস্তায় ফেলে দেব!”

Advertisement

এমন হুঙ্কার শুনে তৃণমূলের এক নেতার মন্তব্য, ‘‘দিলীপবাবুরা মজা পেয়েছেন! ভাবছেন, একটা করে মন্তব্য করবেন আর আমরা পাল্টা বলে ওঁদের প্রচারের ব্যবস্থা করে দেব! আমাদের কর্মীদের বলব, এ সব প্ররোচনায় কান না দিতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement