তুষারপথ: ছাঙ্গু আবারও বরফময়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
উত্তরের পাহাড় ও সমতলের আকাশে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হাজির হতেই বৃহস্পতিবার ফের ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে সিকিমের ছাঙ্গু ও নাথুলা এলাকায়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিম শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাংটকের আশেপাশেই হালকা তুষারপাত হচ্ছে। বৃষ্টি চলছে দুপুর থেকেই। দার্জিলিঙেও দুপুরে ঘুম, জোড়বাংলো এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যায় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। রাতে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় দার্জিলিঙের তাপমাত্রা।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিম শাখার অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় হতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড়ে। ছাঙ্গু-নাথুলায় ভারী তুষারপাত হচ্ছে। গ্যাংটকের আশেপাশেও অল্প বরফ পড়েছে। এমন চললে দার্জিলিং শহরের আশেপাশে ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’’
গত সপ্তাহেই ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি এবং তার পরে বরফে ঢেকে যায় দার্জিলিং ও তার আশপাথ। ছাঙ্গু-নাথুলায় বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। ব্যারাকে তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিল সেনাবাহিনী। এ দিন অবশ্য রাত অবধি কোথাও পর্যটকদের আটকে পড়ার খবর পায়নি সিকিম প্রশাসন।
দার্জিলিংয়ে ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হতেই ফের সমতলের বাসিন্দারা পাহাড়মুখো হবেন বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কারণ, উপগ্রহ চিত্র দেখে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিমের অধিকর্তার অনুমান, আগামী ৭ জানুয়ারি ফের আরও একটি ঝঞ্ঝা সক্রিয় হতে পারে পাহাড়ের আকাশে। তা হলে আবারও তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
এ দিন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতে দিনের বেলায় রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকলেও বিকেল হতেই কনকনে বাতাস বইতে থাকে। রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। দিনের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। রাতে এক ধাক্কায় সেই তাপমাত্রার পারদ অর্ধেক হয়। রাত ৮টার মধ্যে শিলিগুড়ির রাস্তা অন্যান্য দিনের তুলনায় সুনসান হয়ে যায়।