রীতেশের মৃত্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ফের মেডিক্যালে অধ্যক্ষ ঘেরাও

ফের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করলেন পড়ুয়ারা। রীতেশ জায়সবালের মৃত্যুতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি সৌরভ চক্রবর্তী ও বিকাশ কুমারের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাঁরা অধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী রায়ের ঘরের বাইরে অবস্থানে বসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৬:০২
Share:

রীতেশ জায়সবাল। —ফাইল চিত্র।

ফের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করলেন পড়ুয়ারা। রীতেশ জায়সবালের মৃত্যুতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি সৌরভ চক্রবর্তী ও বিকাশ কুমারের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাঁরা অধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী রায়ের ঘরের বাইরে অবস্থানে বসেন।

Advertisement

গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ওই কলেজেরই চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রীতেশ জায়সবাল। কিন্তু, কোনও সিনিয়র চিকিৎসককে তখন হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। সার্জারি বিভাগে সেই রাতে ডিউটিতে ছিলেন রেসিডেন্সিয়াল সার্জন সুমন দাস এবং দুই পিজিটি সৌরভ চক্রবর্তী ও বিকাশ কুমার। অভিযোগ, তাঁদের গাফিলতিতেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে সোমবার সকালে রীতেশের মৃত্যু হয়।

এর পরই রেসিডেন্সিয়াল সার্জন সুমন দাসকে বরখাস্ত করা হয়। দুই পিজিটি সৌরভ ও বিকাশকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

Advertisement

পড়ুয়াদের অভিযোগ, সুমনবাবুকে বরখাস্ত করা হলেও ওই দুই পিজিটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের আরও দাবি, সেই রাতে যেহেতু সার্জারি বিভাগের এক নম্বর ইউনিটে ঘটনাটি ঘটেছিল তাই সার্জারি বিভাগের প্রধান কাজী মহম্মদ রহমানের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁরা বলেন, ‘‘যত ক্ষণ না আমাদের দাবি মানা হচ্ছে, তত ক্ষণ অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান চলবে।’’

পড়ুয়াদের আরও দাবি, ওই দুই পিজিটির শাস্তির ব্যাপারে অধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী রায় কোনও পদক্ষেপ না করে বার বার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টে বল ঠেলছেন। আন্দোলনকারী পড়ুয়া সানি পাত্র জানিয়েছেন, শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের এই টালবাহানা দেখেই তাঁরা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবতোষ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ভবতোষবাবু তাঁদের জানিয়েছেন, কলেজের শিক্ষা বিষয়ক ব্যাপার ছাড়া অন্য কোনও ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন না। সানি বলেন, ‘‘উপাচার্য বলেছেন এ ব্যাপারে যা করার অধ্যক্ষই করবেন।’’

যদিও ভবতোষবাবু এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। পড়ুয়াদের অনির্দিষ্টকালীন অবস্থানের কথা শুনে অধ্যক্ষ মঞ্জুশ্রী রায় বলেন, ‘‘সবার জন্য আমার দরজা খোলা আছে। ওরা কথা বলুক। আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুর সমাধান সম্ভব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন