পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তিরা সিউড়ি আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়ের নিগ্রহ কাণ্ডে জড়িত। কিন্তু পাড়ার লোকেরা বলছেন উল্টো কথা। পরিজনদের দাবি, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলই না ধৃতেরা। তাই তাঁদের মুক্তির দাবিতে নজিরবিহীন ভাবে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান ধৃত ব্যক্তিদের পরিচিতরা। বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
ওই চার জন নিরীহ। কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল তার উত্তর চেয়ে এ দিন বিক্ষোভ দেখায় পাড়ার লোক জন। মঙ্গলবার আদালতে ধৃতদের তোলা হলে দু’জনের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কালীপুজোর চাঁদা চেয়ে গত রবিবার বীরভূমের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকায় কয়েক জন যুবক। প্রথমে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা বাধে। পরে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই সময় বিচারক গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিজের পরিচয় দেন। সিজেএমকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করে তাঁর জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় চার জনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
• চাঁদা দে! গাড়ি আটকে মার বিচারককেই
• চাঁদা-পথে ছ’ঘণ্টার জুলুমযাত্রা