জেলা পথ দেখাচ্ছে প্রদেশকে।
হুগলির বন্ধ চটকল খোলার দাবিতে জেলা কংগ্রেস আজ, শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছে। হুগলির কর্মসূচির কথা জেনে তাঁরাও রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
চটকল শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। ঝটিকা সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসে রাজ্যের চটকল শ্রমিকদের অবস্থা দেখতে গত ৬ জুন হুগলির রিষড়ার ওয়েলিংটন জুট মিলে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন রাহুল। তিনি চলে যাওয়ার পরেও হুগলির চারটি চটকল বন্ধ হয়েছে। সেই বন্ধ চটকলগুলির খোলার দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছে হুগলি জেলা কংগ্রেস। আজ চাঁপদানির নর্থবুক জুট মিলের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আন্দোলনে নামছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। যাঁকে রাহুলের কর্মসূচিতে ডাকাই হয়নি।
বাকি তিনটি বন্ধ চটকল কারখানার সামনেও হুগলি জেলা কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ নাথের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে মান্নান জানিয়েছেন। কাল রবিবার রিষড়ার হেস্টিংস চটকলের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবেন জানিয়ে মান্নান বলেন, ‘‘আমাদের নেতা রাহুল গাঁধী রিষড়ায় ওয়েলিংটন জুট মিলে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে বলেছিলেন, চটকল শ্রমিকদের দুর্দিনে কংগ্রেস পাশে থাকবে। তাঁর এই বার্তা মেনেই আমরা আন্দোলন শুরু করছি।’’ তিনি জানান, এরপর ভদ্রেশ্বর ও শ্রীরামপুরে দু’টি বন্ধ চটকল খোলার দাবিতে জেলা কংগ্রেস আন্দোলন করবে। জেলা কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের চটকল শিল্পের বেহাল অবস্থা নিয়ে মোদী সরকার বা মমতা সরকার উদাসীন। তাই এই মুহূর্তে আন্দোলনে নামা দরকার বলেই তাঁরা প্রদেশের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে আন্দোলনে নামছেন।
হুগলিতে কংগ্রেসের আন্দোলনের কর্মসূচির কথা জেনে অধীরবাবু সোমবার বিধানসভায় বন্ধ চটকল এবং সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের চট শিল্পের সমস্যা নিয়ে আলোচনার দাবি তোলার জন্যে এ দিনই পরিষদীয় দলকে অনুরোধ করেছেন। হুগলি জেলা কংগ্রেসের আন্দোলনকে সারা বাংলায় ছড়িয়ে দিতে চান অধীর। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের মোদী সরকার কৃত্রিম বস্তা লবির তাঁবেদারি করছে। আর এখানে দিদির সরকার চিটফান্ডের দালালি করতে ব্যস্ত। চট শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে দুই সরকারেরই ভাবার সময় কোথায়? চটশিল্পের উন্নতির দাবিতে কংগ্রেস সারা বাংলা জুড়ে আন্দোলন করবে। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে বাংলার চটশিল্পের বেহাল অবস্থার কথা তুলবেন রাহুল গাঁধীও।’’