শাসনে পঞ্চায়েত ভোটে শক্তি বৃদ্ধি করল সিপিএম। ফাইল চিত্র।
শাসনে পঞ্চায়েত ভোটে শক্তি বৃদ্ধি করল সিপিএম। বুথ সভাপতি-সহ তৃণমূলের ৪০০ জন সক্রিয় কর্মীকে শুক্রবার দলে যোগদান করানো হয়। রাজ্য রাজনীতিতে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ১২ বছর পরে খোলা হল দলীয় কার্যালয়ও। যদিও যাঁদের ভাঙিয়ে শাসনে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম, তাঁদের অনেককেই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এলাকার খবর, মাটি, জমি ও ভেড়ি দখলের লড়াইয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া তৃণমূলের লোকজনই শাসনে সিপিএমে যোগদান করেছেন।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে সিপিএম তাদের শক্ত ঘাঁটি শাসনে পায়ের নীচের জমি হারিয়েছিল। বারাসত-২ ব্লকের শাসনে এখনও সিপিএমের সিংহভাগ দলীয় কার্যালয় তালাবন্ধ, নয়তো বেদখল। কিন্তু এলাকার ভেড়ি, জমি ও মাটি কাটার কারবারের দখল নিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের মধ্যেই ধীরে ধীরে বিস্তর গোলমাল গত ১১-১২ বছর ধরে চলছে বলে খবর। সেখানেই বিক্ষুব্ধেরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ দিন সিপিএমে যোগ দেন। খোলা হয় দলীয় কার্যালয়। আমিনপুরেও দলীয় কার্যালয় দ্রুত খোলা হবে বলে সূত্রের খবর।
বারাসত-২ ব্লকের রমাগাছি এলাকার বুথ সভাপতি নজরুল ইসলাম, মদনপুরের তৃণমূল নেতা সহিদুল ইসলাম, আবদুল সাত্তার-সহ বেশ কিছু নেতার উপরে নির্ভর করে শাসনে শক্তি বৃদ্ধি করেছিল তৃণমূল। ওই দুই নেতা-সহ ৪০০ কর্মী-সমর্থককে যোগদান করানো হয়েছে সিপিএমে। আবদুল সাত্তারের দাবি, ‘‘তৃণমূলে নেতাদের কথা মতো টাকা দিতে না পারায় সিপিএমে যোগ দিয়েছি।’’ সহিদুল ইসলামের দাবি, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়ে সিপিএমে এসেছি।’’ তৃণমূল থেকে আসা বুথ সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুর্নীতি না করায় দলে কোণঠাসা ছিলাম। সিপিএমে এসে এ বার তৃণমূলকে হারাবই।’’
শাসকদলের লোকজনকে নিয়ে দল ভারী করায় অন্যায় দেখছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ৪০০ জন এসেছেন।’’ সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খানের কথায়, ‘‘বারাসত-২ ব্লকের দায়িত্ব পেয়ে তৃণমূলের ঘর ভেঙেছি। এ বার এলাকা তৃণমূলমুক্ত করব।’’ বারাসত-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের অনেককে দল বহিষ্কার করেছে। ওঁদের যাওয়ায় পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’