বাগডোগরা থেকে কলকাতার বিমান ভাড়া যেন শেয়ার বাজারের সূচক। সকালে যদি থাকে ৮-১৬ হাজার, তো বিকেলে নেমে এল ৪-৫ হাজারে। কেউ জানে না, পরদিন সকালে অনলাইনে বুকিং করতে গেলে আবার সেটা বেড়ে যাবে কিনা!
বন্যায় দক্ষিণের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন উত্তরবঙ্গের রেল ব্যবস্থা। আগামী সপ্তাহ থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরকদমে চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আজ শনিবার এক দফা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন রেলের অফিসারেরা। এই অবস্থায় সকলের চোখই বিমান ভাড়ায়। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে চমকপ্রদ উত্থান-পতন। কখনও ভাড়া ১৬ হাজারে পৌঁছচ্ছে তো কখনও নেমে আসছে চার হাজারে।
তবে শুক্রবার এমন ওঠাপড়া দেখার পরেও অনেকে মনে করছেন, আগামী ২১ অগস্ট থেকে অনলাইনে বিমান ভাড়া কমতে পারে। বিমানবন্দরের কয়েক জন অফিসার জানিয়েছেন, বর্তমানে বিমান ভাড়া পুরোটাই অনলাইন পদ্ধতিতে চলে। চাহিদা বেশি থাকায় ভাড়া বাড়তে থাকে। ট্রেন ও বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় বিমানের টিকিটের জন্য চাহিদা বেড়েছিল এর মধ্যে। তাই দিন তিনেক আগে ভাড়া ২৫ হাজারের উপরেও পৌঁছে যায়। যা দেখে রাজ্যের হস্তক্ষেপ দাবি করে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস।
সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়া সেই ভাড়া আবার কবে ধীরে ধীরে নামবে, সেই প্রশ্ন রয়েছে সকলের মধ্যেই। এমনকী, রাজ্যের হস্তক্ষেপ দাবি করার পরেও ভাড়া ১৫-১৬ হাজারের কাছে ঘোরাফেরা করছিল। এর পরে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে ভাড়া কমানোর বিষয়টি দেখা ছাড়াও অতিরিক্ত বিমান চালানোর জন্য বলা হয়। আজ, শনিবার সকালে স্পাইসজেটের একটি অতিরিক্ত বিমান চলাচল করার কথা। সকাল ৭-১০ মিনিটে সেই বিমানটি কলকাতা থেকে বাগডোগরা আসবে।
বাগডোগরা-কলকাতা নিয়মিত যাতায়াতকারীদের কয়েক জন যাত্রী জানান, ২০-২১ অগস্টের পর ট্রেন, বাস স্বাভাবিক হবে ধরে নিয়ে অনলাইনে বিমানের টিকিটের খোঁজ নেওয়াও কমে যাচ্ছে। সে জন্যই ২১ অগস্ট থেকে ভাড়া অনেকটাই কম দেখাচ্ছে। আর যদি বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি না হয়? ওই যাত্রীদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে আবার ঊর্ধ্বগামী হবে ভাড়া। আবার তা ফিরে যেতে পারে ২০ হাজারের কোঠায়।
এ দিন বাগডোগরা থেকে ২০টি বিমান দিনভর যাতায়াত করেছে। বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায় জানান, ৩০৯৬ জন যাত্রী এ দিন বিমানবন্দর ব্যবহার করে যাতায়াত করেছেন।