সাত পুরসভার ভোটে হিংসা দেখে আগামী বছরের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চিন্তায় প্রদেশ কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, যে ভাবে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে শাসক দল ভোট করিয়েছে, পুলিশের যা মনোভাব, তাতে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সব বিরোধী দলকেই ভাবতে হবে। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটও হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে। রবিবারের পুরনির্বাচনে যে আদৌ ভোট হয়নি, সে কথা সনিয়া গাঁধী এবং রাহুলকে জানিয়েছেন তিনি।
অধীর যে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, বাম-বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলিও একই মত পোষণ করছেন। বামেদের মতে, বিরোধীদের ওয়ার্ডেই বেশি হিংসা করা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন দফতরও নীরব দর্শক থেকে শাসক দলকে মদত দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও একই রিপোর্ট দিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে। অধীরের বক্তব্য, এই যদি পরিস্থিতি হয়, তা হলে সব দলকেই ভাবতে হবে কী ভাবে পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নেওয়া সম্ভব। তবে রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের একাংশের বক্তব্য, অধীর যা বলছেন, সেটা বাস্তব। কিন্তু তাঁর আক্রমণাত্মক হওয়ার পিছনে নিচের পিঠ বাঁচানোর অঙ্কও রয়েছে। কারণ, নিজের গড় মুর্শিদাবাদে অধীরের রাশ ক্রমশ আলগা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরেও ক্রমেই চড়া হচ্ছে অধীর-বিরোধিতার সুর। তাঁকে প্রদেশ সভাপতি সরানোর জন্য রাহুল গাঁধীর কাছে আবেদনও করা হয়েছে। তাই নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সক্রিয় হচ্ছেন অধীর।