Tata Motors

টাটাদের ক্ষতিপূরণে মত দেন তিন আরবিট্রেটরই

এই বিষয়ে যে সালিশি আদালত তৈরি হয়েছিল, তাতে তিন জন আরবিট্রেটর ছিলেন। তাঁদের এক জনকে মনোনীত করে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:২৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ার কারণে সালিশি আদালত (আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল) টাটা মোটরসকে বিপুল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে। যা নিয়ে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তবে আইন মহলের খবর, বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, তিন জন আরবিট্রেটরের সকলেই টাটাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে যে সালিশি আদালত তৈরি হয়েছিল, তাতে তিন জন আরবিট্রেটর ছিলেন। তাঁদের এক জনকে মনোনীত করে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। দ্বিতীয় জনকে মনোনীত করেন টাটা কর্তৃপক্ষ ও তৃতীয় জনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিগম ও টাটা উভয়ের সম্মতি ছিল। আরবিট্রেটরদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শিরপুরকর ছিলেন ‘প্রিসাইডিং আরবিট্রেটর’। বাকিরা কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অলোক চক্রবর্তী ও প্রাক্তন বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস।

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, এই ক্ষেত্রে যেহেতু রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিতে পারেননি আরবিট্রেটরদের কেউই, ফলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য রাজ্যের পরিকল্পনা কতটা কাজে আসবে, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তা নিয়েও। তবে আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যে-ই মনোনীত করুক না কেন, আরবিট্রেটররা স্বাধীন ভাবেই কোনও বিষয় বিচার করে নিষ্পত্তি করেন। সেই সূত্রে টাটা মোটরসের সঙ্গে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের যে চুক্তি হয়েছিল, এ ক্ষেত্রে তা-ই মান্যতা পেয়েছে।

Advertisement

টাটাদের পক্ষে সালিশিতে ছিলেন ‘অভিজিৎ দেব পার্টনার্স’। সংস্থার সিনিয়র পার্টনার অভিজিৎ দেব বলেন, ‘‘দু’পক্ষই সওয়াল করেছিল। তা বিবেচনা করে রায়দান করেছে সালিশি আদালত।’’

অভিজিৎবাবু জানান, সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা গড়ার জন্য রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম ও টাটা মোটরসের মধ্যে যে ‘লিজ়-ডিড’ হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট বলা হয়, টাটাদের গাফিলতি ছাড়া যদি তাদের চলে যেতে হয় বা কারখানা না হয়, সে ক্ষেত্রে নিগমকে টাকা দিতে হবে। আইনি লড়াই সেই খাতেই আবর্তিত হয়েছে।

কয়েক দিন আগেই বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে টাটা কর্তৃপক্ষ জানান, সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানার সূত্রে টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, ২০১৬ সাল থেকে ১১% সুদ ও এক কোটি টাকা মামলার খরচ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। এ রাজ্যের প্রবীণ আমলাদের অনেকেই মনে করেন, ‘কম্পাউন্ড’ সুদ ধরলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেই অঙ্ক পৌঁছতে পারে প্রায় ১৭৬৫ কোটি টাকায়।

যদিও গত মঙ্গলবার রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এর দায় বিগত বাম সরকারের। তাঁরা আদালতে যাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন