রাজ্যেরই মুখ চেয়ে মানবী বিদ্যার কেন্দ্র

অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইউজিসি ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে ওই সব কেন্দ্রের কাছে। ইউজিসি-র ৯ জুনের সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বাদশ যোজনা চলাকালীন এই ধরনের প্রকল্প চালু থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৮
Share:

সাহায্যের হাত গুটিয়ে নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অস্তিত্ব রক্ষায় তাই এ বার রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সব মানবী বিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের শিক্ষক এবং গবেষকেরা।

Advertisement

অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইউজিসি ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে ওই সব কেন্দ্রের কাছে। ইউজিসি-র ৯ জুনের সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বাদশ যোজনা চলাকালীন এই ধরনের প্রকল্প চালু থাকবে। তবে তার পরে ওই সব প্রকল্প আর চালানো হবে কি না, মূল্যায়নের ভিত্তিতে তা ঠিক করবে ইউজিসি। সেই মূল্যায়ন কবে হবে, কী ভাবে হবে, ইউজিসি-র নির্দেশিকায় তা জানানো হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বরের শেষে যাদবপুরের মানবী বিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের আট জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি খোয়াতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউজিসি-র সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে শুক্রবার যাদবপুরে কনভেনশনের ডাক দিয়েছিলেন পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবী বিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের গবেষক-শিক্ষকেরা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যের সব মানবী বিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে। রাজ্য সেই দায়িত্ব না-নেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে। কনভেনশনে ছিলেন শিক্ষাবিদ মালিনী ভট্টাচার্য, যাদবপুরের মানবী বিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের অধিকর্ত্রী শমিতা সেন, ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন অধিকর্ত্রী ঐশিকা চক্রবর্তী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ঈশিতা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন