ফাইল চিত্র।
উৎসবের ছুটিকে ঘিরে ভুয়ো নির্দেশিকা নিয়ে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা। এরই মধ্যে বিতর্ক বাড়িয়েছেন রাজস্থানের এক আইএএস অফিসার।
অস্থিরতা তৈরি, বিভ্রান্তি ছড়ানো, জালিয়াতি ইত্যাদি অভিযোগকে সামনে রেখে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ এবং ৮৪-বি ধারা। প্রশাসনের দাবি, শীঘ্রই ঘটনার মূলে পৌঁছনো সম্ভব হবে। এর সঙ্গে যুক্ত কাউকেই ছাড়া হবে না।
৮ জুন তারিখের একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসে কয়েক দিন আগে। অর্থ (অডিট) দফতরের নামে জারি করা ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়, ইদের জন্য পূর্বনির্ধারিত ১৬ জুনের সঙ্গে ১২ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি যুক্ত করা হচ্ছে। প্রশাসনিক পরিভাষার অনুকরণে রাজ্যপালের কথা উল্লেখ করে ওই বিজ্ঞপ্তির বয়ান তৈরি করা হয়েছিল। নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি লোগোর পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় রাজ্য সরকারের এক অতিরিক্ত সচিবের সইও। রাজ্য সরকার অবশ্য রবিবারেই জানিয়ে দেয়, নির্দেশিকাটি ভুয়ো। তার তদন্ত করছে পুলিশ।
এই পরিস্থিতিতে ওই ভুয়ো নির্দেশিকা ব্যবহার করে রাজস্থানের আইএএস অফিসার সঞ্জয় দীক্ষিত নিজের টুইট হ্যান্ডলে লেখেন, পশ্চিম বাংলাদেশের একটি রাজ্যে ইদের দীর্ঘতম ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে অবশ্য নিজের পোস্ট প্রত্যাহার করে নেন ওই আইএএস অফিসার। যদিও কলকাতা পুলিশ টুইট করে জানিয়েছিল, যারা ভুয়ো নির্দেশিকার নেপথ্যে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরো ঘটনার গভীর ছায়া পড়েছে রাজ্য প্রশাসনে। সরকারি নির্দেশিকায় যে-সব আধিকারিকের সই থাকে, তাঁদের অনেকেই এমন ঘটনায় আতঙ্কিত। তাঁদের বক্তব্য, এমন ঘটনা আরও বড় কোনও ক্ষেত্রে ঘটলে সমূহ বিপদের আশঙ্কা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশিকা জালিয়াতি ঠেকাতে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকার। অফিসারদের অনেকের ধারণা, সাধারণের কাছে আসল এবং নকলের প্রভেদ আরও স্পষ্ট করতে সরকারি নির্দেশিকায় দৃশ্যত কিছু পরিমার্জন করা হতে পারে। আধিকারিকদের অন্য এক অংশের অনুমান, সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড না-করা পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকাকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করা উচিত নয়। এই পদ্ধতি সব ক্ষেত্রেই মেনে চলা উচিত।