Computer training

Computers: নেই যথেষ্ট কম্পিউটার, শিক্ষকের সংখ্যাও কম

রাজ্য সরকার ডিজিটাল শিক্ষার উপর জোর দিলেও দেখা যাচ্ছে সব স্কুলে কম্পিউটার নেই। পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের ২০১৯-২০ রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৪১
Share:

ফাইল চিত্র

রাজ্য সরকার ডিজিটাল শিক্ষার উপর জোর দিলেও দেখা যাচ্ছে সব স্কুলে কম্পিউটার নেই। পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের ২০১৯-২০ রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে অবশ্য দেখা যাচ্ছে ওই আর্থিক বছরে এ রাজ্যে স্কুল ছুট তেমন বাড়েনি। সামগ্রিক ভাবে স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নতিও সন্তোষজনক। শৌচাগর ও পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ সংযোগের উন্নতি হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ। তবে অনেক স্কুলেই কিন্তু পাঁচিল নেই।
২০১৯-২০-র রিপোর্টে যে সমীক্ষার কথা বলা হয়েছে, তখন করোনা-কাল সবে শুরু হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ, মাধ্যমিক স্তরে ৭৮.৫৮ শতাংশ স্কুলে কম্পিউটার রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার আছে ৯০.৫৬ শতাংশ স্কুলে।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুট ৪.২৮ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুট ৭.২৭ শতাংশ। শিক্ষক মহলের একাংশের মতে, করোনা কালে স্কুল ছুটের পরিমাণ বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ গত দেড় বছর ধরে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারেনি। পড়াশোনা হয়েছে অনলাইনে। ‘ডিজিটাল ডিভাইসের’ কারণে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা পৌঁছচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক থেকে অভিভাকেরা। তাই ২০১৯-২০ সমীক্ষায় যে স্কুল ছুটের শতাংশ বলা হয়েছে তা পরের রিপোর্টে আরও বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শিক্ষক পড়ুয়ার অনুপাত অনুযায়ী, প্রাথমিকে ২১ জন পড়ুয়ার জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। উচ্চ প্রাথমিকে ৪০ পড়ুয়ার জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। মাধ্যমিকে ১৯ জন পড়ুয়ার জন্য এক জন শিক্ষক। উচ্চ মাধ্যমিকে ২৮ জন পড়ুয়ার জন্য এক জন শিক্ষক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাত্র-শিক্ষকের এই অনুপাত বলে দিচ্ছে এখনও পর্যন্ত পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষক কম। তাই শিক্ষক নিয়োগ যে আরও বেশি করে প্রয়োজন, এই সমীক্ষার রিপোর্টই তা জানিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্লাসরুম এবং পড়ুয়ার অনুপাত হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, প্রাথমিকে ২১ জন পড়ুরার জন্য রয়েছে একটি ক্লাসরুম বা শ্রেণিকক্ষ। উচ্চ প্রাথমিকে ৪৩ জনের জন্য একটি। মাধ্যমিকে ৫৮ জনের জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ জনের জন্য বরাদ্দ একটি। এই শ্রেণিকক্ষ ও পড়ুয়ার অনুপাতও সন্তোষজনক নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। ফলে করোনা-কালের পরে স্কুল খুললে কী ভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুল চলবে সেই প্রশ্নও উঠেছে।

Advertisement

পরিসংখ্যান আরও জানাচ্ছে, রাজ্যে প্রাথমিকে ৬৪.২৬ শতাংশ স্কুলে খেলার মাঠ রয়েছে। মাধ্যমিক স্তরে মাঠ রয়েছে ৭৯.১৭ শতাংশ স্কুলে। প্রাথমিক স্তরে স্কুলে পাঁচিল রয়েছে ৪৭.১৯ শতাংশ স্কুলে। উচ্চ প্রাথমিকে পাঁচিল রয়েছে ৩১.৬১ শতাংশ স্কুলে। মাধ্যমিক স্তরে স্কুলে পাঁচিল রয়েছে ৭৪.৭৫ শতাংশ স্কুলে এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে পাঁচিল রয়েছে ৮৬.৪২ শতাংশ স্কুলে। ছেলে ও মেয়েদের ১০০ শতাংশ স্কুলে শৌচাগার আছে বলে উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে সেগুলির অবস্থা কেমন তা িনয়ে চিন্তিত শিক্ষকেরা।
রিপোর্ট বলছে, ৯৯ শতাংশ স্কুলে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন