প্রতীকী ছবি।
অমরনাথের পথে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা শিবব্রত বসু (৬১)। বাড়ি দুর্গাপুরের ডিটিপিএস এলাকায়। দশ জনের একটি দলের সঙ্গে অমরনাথ রওনা হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গল ও বুধবারে আরও তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিন জনই ধসে চাপা পড়েছেন। বৃষ্টি ও ধসের জেরে অমরনাথ যাত্রা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। ২৮ জুন যাত্রা শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এখনও ১১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তবে মৃতদের সকলের পরিচয় স্পষ্ট নয়।
দুর্গাপুরের দলটির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পঞ্চতরণিতে পৌঁছনোর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শিবব্রতবাবু। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৮টা নাগাদ সেখান থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় নামে ওই দলের এক সদস্য বলেন, ‘‘রাতভর প্রচণ্ড বৃষ্টিতে তাঁবুতে থাকতে পারিনি কেউ। বুধবার ভোরে শিবব্রতবাবু আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।’’ ফের স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বালতালে মারা যান শৈলেন্দ্র (৩০) নামে দিল্লির এক বাসিন্দা। জ্যোতি শর্মা (৩৫) ও অশোক মাহাতো (৫১) নামে আরও দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। গুজরাতের এক প্রৌঢ়াও মারা গিয়েছেন বলে খবর। ব্রারিমার্গ ও রেলপত্রির মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে জখম হয়েছেন পাঁচ জন। আবার রামবান জেলায় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও পাঁচ তীর্থযাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, বালতাল হয়ে অমরনাথের রাস্তায় ধস ও ভারী বৃষ্টিতে রাস্তা সাফাইয়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আর পহেলগাম দিয়ে যাওয়ার রাস্তাটি বিপজ্জনক পিছল হয়ে রয়েছে। যাত্রা তাই স্থগিতই। তবু তীর্থযাত্রীর ঢল বাড়ছে। আজই জম্মু থেকে রওনা হয়েছে ৩৭০৮ জনের এক দল। ৬২২ জন মহিলা এবং ২৩২ জন সাধু আছেন সেই দলে।