Jyotipriya Mallick

আবার ইডি দফতরে বালুর আপ্তসহায়ক অমিত, হাজির অভিজিৎও, যাঁর বাড়িতে ‘মেরুন ডায়েরি’ পায় ইডি

বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয়ের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি অমিতের নাগেরবাজারের তিনটি ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তিনটি ফ্ল্যাটই তখন বন্ধ ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১১
Share:

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে। শুক্রবারের পর শনিবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অমিতের পাশাপাশি ইডির দফতরে পৌঁছন জ্যোতিপ্রিয়ের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছিল মেরুন ডায়েরি, যা ইডির তদন্তে উঠে এসেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয়ের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি অমিতের নাগেরবাজারের তিনটি ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তিনটি ফ্ল্যাটই তখন বন্ধ ছিল। স্ত্রী, বৃদ্ধা মা, সন্তানকে নিয়ে ছুটি কাটাতে পুরী গিয়েছিলেন অমিত। ফলে তিনটি ফ্ল্যাটের কোনওটিতেই ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। গেটের বাইরে পাহারায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। অপেক্ষা করছিল ইডিও। শেষ পর্যন্ত ভুবনেশ্বর থেকে বিমান ধরে কলকাতায় ফিরে আসেন অমিত। বিমানবন্দর থেকে সপরিবার অমিতকে গাড়িতে চাপিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে ইডি। খোলে ফ্ল্যাটের দরজা। শুরু হয় নতুন তল্লাশি পর্ব।

নাগেরবাজারের দু’টি অ্যাপার্টমেন্টে জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্তসহায়ক অমিতের মোট তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যাপার্টমেন্টের নাম ‘ভালবাসা’। অন্যটির নাম ‘পারুল’। দু’টি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে ৫০০-৬০০ মিটারের দূরত্ব। তবে ‘পারুল’-এর ফ্ল্যাটে এখন আর থাকেন না অমিত। ‘ভালবাসা’ অ্যাপার্টমেন্টের দু’টি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সেখানে প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। এর পর শুক্রবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন অমিত। রাতে সেখান থেকে বার হন। তার পর শনিবার ফের তাঁকে তলব করে ইডি। সকালে ইডির দফতরে পৌঁছে যান তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিতের হাওড়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল মেরুন ডায়েরি। আদালতে ইডি দাবি করেছে, সেই ডায়েরির উপরে লেখা রয়েছে ‘বালুদা’। জ্যোতিপ্রিয়ের ডাকনাম বালু। ইডি দাবি করেছে, ওই ডায়েরিতে বিভিন্ন তারিখের পাশে প্রচুর টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে। সেই ডায়েরিতে কাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে এবং কাদের টাকা দেওয়া রয়েছে, তার উল্লেখও রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন