Amit Shah slams TMC Government

মেট্রোর কাজ থমকে কেন, সংঘাতে দু’পক্ষ

হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ মেট্রো-পথের উদ্বোধনে এসে মেট্রোর কাজে ‘বাধা’র অভিযোগ তুলে রাজ্যকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৫
Share:

অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

জমি-প্রশ্নে কলকাতায় বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের কাজ অতীতে বার বার থমকে গিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ থেকে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো-পথের (কমলা লাইন) মধ্যে চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটারের কাজ হওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলছে রাজ্য প্রশাসন এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের। বিবাদ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসে দেশের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই মেট্রো-সহ উন্নয়নের কাজে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পক্ষান্তরে, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় দলীয় সভা থেকে রেল-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাজ্য জমি দিয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ মেট্রো-পথের উদ্বোধনে এসে মেট্রোর কাজে ‘বাধা’র অভিযোগ তুলে রাজ্যকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই পথে হেঁটেই বিভিন্ন বিরোধী-শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রের কাজের উদাহরণ দিয়ে শাহ এ দিন বলেছেন, “ভারত সরকার দেশে জুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। কোথাও পক্ষপাতিত্ব হয় না। তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানায় মেট্রোর কাজে সমস্যা হচ্ছে না কেন? লখনউয়ে মেট্রোর কাজের সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেশ যাদব। শুধু পশ্চিমবঙ্গে অসুবিধা কেন? মেট্রো হাওয়ায় চলে না! জমি দরকার। সেই জমি খালি করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।” এই সূত্রেই দেশে প্রথম মেট্রো কলকাতায় চালু হয়েছিল, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শাহ।

শাহকে পাল্টা নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বাঁকুড়ায় তিনি বলেছেন, “মমতা জমি না দিলে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন কে করে গিয়েছে? মমতা। আপনি নন!” তাঁর সংযোজন, “কয়লা তোলার জন্য ইসিএল কোথায় জমি পেত? রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বাঁকুড়া, অন্ডাল বিমানবন্দর, পানাগড় থেকে ঘোকসাডাঙা, মালবাজার, চ্যাংড়াবান্ধায় জমি কে দিয়েছে? বড়-বড় কথা। মিথ্যা কথা।” এই আবহে কিসান সম্মাননিধি, আয়ুষ্মান ভারতের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প কেন পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে দেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শাহ। তাঁর অভিযোগ, “ভারত সরকারের প্রকল্পের বিরোধিতা করার মানসিকতা নিয়ে চলছে এই রাজ্য সরকার। এমন মানসিকতা রাজ্য ও দেশের জন্য ভাল নয়। মুখ্যমন্ত্রী আসলে নরেন্দ্র মোদী নামটাকেই ভয় পান।”

এমন চাপানউতোরের মধ্যে সিপিএম অবশ্য দাবি করেছে, ২০১১-র পরে রানিগঞ্জে ইসিএল কোনও জমি অধিগ্রহণ করেনি। বাম আমলেই অন্ডালে জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল এবং পানাগড়ে ওই আমলেই চাষিরা জমি দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন