অমিত স্যারের পরীক্ষায় ফেল দিলীপ

দলের রাজ্য পদাধিকারী, জেলা সভাপতি এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পদাধিকারীদের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, কোন ছ’টি দিবস পালনের কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বেঁধে দিয়েছেন? পরীক্ষার হলে উত্তর লিখতে না পারা ছাত্রের মতো হাত কামড়ানোর অবস্থা হয় প্রায় সকলেরই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:২৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত

কড়া মাস্টারমশাই পড়া ধরলেন! পারলেন না সিংহভাগ ছাত্রই! এমনকী, ক্লাস মনিটরও!

Advertisement

কলকাতার আইসিসিআর-এ সোমবার বিজেপি-র বৈঠক এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল।

আরও পড়ুন: নরেন্দ্রর পথেই, দাবি মোদীর

Advertisement

দলের রাজ্য পদাধিকারী, জেলা সভাপতি এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পদাধিকারীদের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, কোন ছ’টি দিবস পালনের কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বেঁধে দিয়েছেন? পরীক্ষার হলে উত্তর লিখতে না পারা ছাত্রের মতো হাত কামড়ানোর অবস্থা হয় প্রায় সকলেরই। ঘুরতে ঘুরতে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে অমিত জানতে চান, তিনি জানেন তো? মেরে কেটে একটি কর্মসূচির নাম বলতে পারলেন দিলীপবাবু— পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিবস পালন। হাল দেখে দৃশ্যত হতাশ অমিতের মন্তব্য— ‘হায়! এই অবস্থা’। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই ঘটনার পরে সাংবাদিকদের কাছে দিলীপবাবু অবশ্য যথেষ্ট জোরের সঙ্গে দাবি করেন, ‘‘অমিত শাহ সক্রিয় ও জোরদার সংগঠন গড়ার কথা বলেছেন। আমরা সেই কাজ করব।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মনিরপেক্ষ নেতা হলে আমরা তাঁকে পুজো করতাম না।’’ প্রসঙ্গত, এ দিনই ছিল বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ তম দিন। সেই কারণে এ দিন বিবেকানন্দের বাড়ি গিয়ে তাঁর মূর্তিতে মালা দেন অমিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement