ফাইল চিত্র।
ফের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কটাক্ষ শুনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোন ছ’টি দিবস রাজ্য জুড়ে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন, সোমবার বিকেলে সেই প্রশ্নের পুরো জবাব দিতে পারেননি তিনি। ওই দিনই রাতে দলের সব মোর্চা এবং সেলের বৈঠকে অমিত নির্দেশ দেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মোর্চা নেতৃত্বকে মণ্ডল কমিটিগুলি তৈরি করে ফেলতে হবে। তার পরেই যোগ করেন, না করলে তাঁদের অবস্থা হবে দিলীপ ঘোষের মতো। যিনি বার বার বলা সত্ত্বেও ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র পিছু এক জন করে পালক এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি।
ওই বৈঠকের আগেই লোকসভা পালকদের বৈঠক ডেকেছিলেন অমিত। হাজির ছিলেন ২১ জন। যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও সকলে নিজেদের কেন্দ্র এবং দায়িত্ব সম্পর্কে ঠিকমতো ওয়াকিবহাল নন। বিস্তারক অভিযানে অর্ধেকেরও কম বুথে পৌঁছনোর রিপোর্ট পেশ করেন রাজ্য নেতৃত্ব। বিধানসভা পিছু এক জন করে মোট ২৯৪ জন বিস্তারকও তাঁরা এখনও জোগাড় করতে পারেননি। ৯০ জনকে জোগাড় করা হয়েছে বলে দাবি করলেও বৈঠকে হাজির ছিলেন ৭৮ জন। বিস্তারকদের কাজের সরঞ্জামও ঠিকমতো পৌঁছনো হয়নি। দলীয় সূত্রে খবর, এই সব নিয়ে অমিতের কাছে এ দিন ভর্ৎসিত হয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে স্বাধীন ভাবে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন অমিত।