Jhargram

রান্নাঘরে হাতির হানা, সাবাড় ডিম-ভাত

ঝাড়গ্রাম ব্লকের জোয়ালভাঙা গ্রামের ওই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক কাটছে না পঞ্চানন মুর্মু, তাঁর স্ত্রী সানমণি মুর্মু ও দুই নাবালক পুত্রের।

Advertisement

রঞ্জন পাল

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ০৫:৫৪
Share:

এই ভাবেই মাটির দেওয়াল ভেঙে ঢুকেছিল হাতি। নিজস্ব চিত্র —নিজস্ব চিত্র।

রাত প্রায় একটা। হঠাৎ প্রবল শব্দে ঘুম ভেঙে গেল গৃহকর্তার। চোখ খুলে দেখলেন, রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আস্ত হাতি!

Advertisement

ঝাড়গ্রাম ব্লকের জোয়ালভাঙা গ্রামের ওই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক কাটছে না পঞ্চানন মুর্মু, তাঁর স্ত্রী সানমণি মুর্মু ও দুই নাবালক পুত্রের। বাড়ির মধ্যে হাতি দেখে পাড়ার লোককে ফোন করা শুরু করেন পঞ্চানন। তবে শুক্রবার গ্রামের অনেকেই বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে গ্রামের এক প্রবীণের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয়। তিনি আরও কয়েক জনকে নিয়ে পঞ্চাননের বাড়ির সামনে এসে দেখেন, বাইরে আরও একটি হাতি দাঁড়িয়ে। পরে মশাল জ্বালিয়ে কোনও মতে ওই দু’টি হাতিকে তাড়ান গ্রামবাসীরা।

পঞ্চানন ও সানমণি জানালেন, রান্নাঘরে ভাত আর ডিমের তরকারি ছিল। হাতিটি সে সব খেয়েছে। বাসন ও মুদি দোকানের সামগ্রীও নষ্ট করেছে। ওই দম্পতি বলেন, ‘‘আগেও হাতি এসে কলাগাছ খেয়ে চলে গিয়েছে। এ বার যে মাটির দেওয়াল ভেঙে একেবারে ঘরে ঢুকে আসবে, বুঝিনি। হুলাপার্টির কেউ ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে কী করব বুঝতে পারছিলাম না!’’

Advertisement

শনিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও ওই গ্রামে বন দফতরের কাউকে দেখা যায়নি। সকালে গ্রামে পৌঁছতেই স্থানীয় তিলক হেমব্রম, সনাতন সরেন, বনমালী হেমব্রমরা বললেন, ‘‘আমরা হাতি না তাড়ালে ঘরের কেউ বাঁচত না।’’ দুপুরে ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ অবশ্য সূর্যবংশী বলেন, ‘‘খাবারের খোঁজেই বাড়ির মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল হাতিটি। বিষয়টি আমি জানতাম না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন