Drug Dealing

Drug Dealing: করোনায় কাজ হারিয়ে মাদক কারবার, ধৃত

বাবা অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী, দাদা সেনাবাহিনীতে কর্মরত। করোনাকালে কাজ হারিয়ে শেষে মাদক কারবারে জড়িয়ে পরে, ধৃত এক যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২২ ০৬:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাবা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী। এখন অবসর নিয়েছেন। দাদারাও প্রতিষ্ঠিত। সেই পরিবারের ছোট ছেলেই গ্রেফতার হল আন্তঃরাজ্য মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে।

Advertisement

প্রসেনজিৎ পাত্র নামে বছর আটত্রিশের ধৃত ওই যুবকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার একটি গ্রামে। গত শুক্রবার ওড়িশা থেকে গাঁজা এনে বাড়িতে মজুত করেছিল সে। পুলিশ আসছে খবর পেয়ে দু’টি ব্যাগে সেই গাঁজা নিয়ে বাইকে ফের ওড়িশার দিকেই পালানোর চেষ্টা করেছিল প্রসেনজিৎ। কিন্তু তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে প্রসেনজিৎ। তার পর কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রদেশে একটি সংস্থায় চাকরি করত। তবে করোনার কারণে লকডাউনে কাজ হারিয়ে বছর আড়াই আগে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গ্রামে ফেরে সে।

জানা যাচ্ছে, গ্রামে ফিরে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেছিল প্রসেনজিৎ। তবে তা বন্ধ হয়ে যায়। সীমানা এলাকায় বাড়ি হওয়ায় ওড়িশায় যাতাযায় ছিল। সেই সুবাদেই সহজে টাকা রোজগারের নেশায় নিষিদ্ধ মাদক, গাঁজার কারবারে জড়িয়ে পড়ে সে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ওড়িশার জলেশ্বর থেকে এজেন্ট মারফত গাড়িতে এ রাজ্যে মূলত গাঁজাই নিয়ে আসত প্রসেনজিৎ। তার পরে চাহিদা মতো নিজে বাইকে করে বিভিন্ন এলাকায় তা পৌঁছে দিত।

Advertisement

ধৃতের বাবা অবসরের পরে গ্রামেই স্ত্রী, ছেলেদের সঙ্গে থাকেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে প্রসেনজিৎ ছোট। বড়দা কর্মসূত্রে সপরিবার কলকাতায় থাকেন। মেজদা সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তবে ছোট ছেলের এই কীর্তিকলাপ বৃদ্ধ বাবা-মা টের পাননি বলেই দাবি। ছেলে গ্রেফতারের পরে নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলেছেন।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গ্রামে মেলামেশা করত না প্রসেনজিৎ। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘প্রসেনজিৎ খুব বদমেজাজি। তেমন কারও সঙ্গে মিশত না। কী কাজ করত জানতাম না। এখন সব জেনে অবাক হচ্ছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন